ইলিয়াস আলীর খুনের রহস্য উন্মোচন চায়-জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৮:৫৬, ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

ইলিয়াস আলীর খুনের রহস্য উন্মোচন চায়-জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ

newsup
প্রকাশিত মে ১৬, ২০২৫
ইলিয়াস আলীর খুনের রহস্য উন্মোচন চায়-জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ

ডেস্ক রিপোর্ট

আধিপত্যবাদী ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিএনপি নেতা শহিদ ইলিয়াস আলীর গুম-খুনের প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

একইসঙ্গে ফারাক্কা, গজলডোবা ও টিপাইমুখ বাঁধসহ সকল বাঁধের ফলে ভারতের পানি আগ্রাসনে ৫৪ বছরে বাংলাদেশের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফারাক্কা লংমার্চ দিবস (১৬ মে) উপলক্ষে ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের দাবিতে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশে এ দাবি জানায় দলটি।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মোহাম্মাদ শামসুদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম-আহবায়ক সাইয়েদ কুতুব, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. তোফায়েল হোসেন ও রাজু আহমেদ সদর, এবং বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান প্রমুখ।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মোহাম্মাদ শামসুদ্দীন বলেন, ফারাক্কা, গজলডোবা ও টিপাইমুখ বাঁধসহ সকল বাঁধের ফলে ৫৪ বছরের ক্ষতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। দেশের স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্ব বিরোধী হাসিনা-মোদি, হাসিনা-মনমমোহন চুক্তি বাতিল করতে হবে। সীমান্তে নির্বিচারে বাংলদেশি হত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক আদালতে প্রার্থী হতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে পানি লুটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে রূপান্তরের চক্রান্ত রুখে দিতে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান পানি মৈত্রী জোট গঠন করতে হবে।

শামসুদ্দীন বলেন, টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় সাবেক এমপি ইলিয়াস আলীকে দিল্লি ও হাসিনা তাকে গুম করেছিল। আমরা তার গুমের তদন্ত ও বিচার চাই। ফারাক্কা দিবস জাতীয়ভাবে পালন করতে হবে।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব বলেন, কলকাতা বন্দরকে পলির হাত থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে ভারত কর্তৃক ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ও ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করেছে। ভারতের গঙ্গার পানির একতরফা প্রত্যাহার বাংলাদেশের কেবল পরিবেশ ব্যবস্থাই ধ্বংস করছে না বরং এ দেশের কৃষি, শিল্প, বনসম্পদ ও নৌ-যোগাযোগের মতো অর্থনৈতিক খাতগুলির ওপরও হুমকি দেখা দিয়েছে।

এ সময় বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে এবং সকল বাঁধ ভেঙ্গে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. তোফায়েল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের অভিন্ন নদী দিয়ে পানি প্রবাহিত করার জন্য ধর্ম-বর্ণ সবশ্রেণি পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, পদ্মা-তিস্তায় হয় পানি প্রবাহিত হবে আর নাহয় ভারতীয়দের রক্ত প্রবাহিত হবে। সবশেষ তিনি সীমান্তে ভারতের অবৈধ পুশইনের তীব্র প্রতিবাদ করেন।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য রাজু আহমেদ সদর বলেন, ফারাক্কা লংমার্চের স্মৃতিবাহী চাপাই নবাবগঞ্জ আজ পানি আগ্রাসনের নির্মম শিকার, দেশের উত্তর-দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল মরুভূমিপ্রায়। ভারতের আগ্রসনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মোহাম্মাদ শামসুদ্দীন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক সাইয়েদ কুতুব, সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান ও আব্দুস সালাম, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য মো. তোফায়েল হোসেন ও রাজু আহমেদ সদর, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-আহবায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ, সরকারি মাদ্রাসা-ই- আলিয়া শাখার সদস্য সচিব মো. জিনাত হোসেন ও সহকারী সদস্য সচিব মো. সোহাগ প্রমুখ। ডেস্ক জেবি

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।