নিষেধাজ্ঞার ফলে হার্ভার্ড ও এতে অধ্যয়নরত সাত হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর শিক্ষা, গবেষণা ও বসবাস অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেন, হার্ভার্ডের মোট শিক্ষার্থীর এক-চতুর্থাংশই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর লক্ষ্য অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। অথচ সরকার কলমের খোঁচায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও তাদের অবদানগুলো মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। অথচ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ছাড়া, হার্ভার্ড আর হার্ভার্ড থাকে না।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি হিসেবে অভিহিত করে হাভার্ড কর্তৃপক্ষ। তারা প্রশাসনের সিদ্ধান্তটিকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অস্পষ্ট বলে দাবি করেন। চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যায়ের বিরোধ শুরু হয়। গত বসন্তে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরেুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য চান দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়কমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম। তিনি শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত তথ্য দেয়ে হার্ভার্ডকে চিঠি দেন। কিন্তু তার অনুরোধ রাখতে ব্যর্থ হয় বিশ্বের অন্যতম সেরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। এখান থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে হার্ভার্ডের দ্বন্দ্বের শুরু হয়।
Desk: K