স্পোর্টস ডেস্ক
টরন্টো, অন্টারিও – কানাডার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য ২০২৬ সাল এক বিশেষ মুহূর্ত নিয়ে আসছে। যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সাথে কানাডা ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজন করতে চলেছে। এই মেগা ইভেন্টটি শুধু ফুটবল দর্শকদের জন্যই আনন্দের উপলক্ষ নয়, বরং কানাডার সাধারণ মানুষও বিভিন্নভাবে এর সুফল ভোগ করতে পারবে। বিশেষ করে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার সুযোগ এবং অর্থনৈতিক উন্নতির হাতছানি এখন থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে।
বিশ্বকাপের বিশাল কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকের। ফিফা জানিয়েছে, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে প্রায় ৬৫,০০০ স্বেচ্ছাসেবক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে কানাডার টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুভারে ৬,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের সুযোগ তৈরি হয়েছে। স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে অনুশীলন মাঠ এবং ফ্যান জোন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবকরা দর্শকদের সহায়তা করা, দিকনির্দেশনা দেওয়া এবং ইভেন্ট ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিতে অংশ নেবেন।
স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য তেমন কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। তবে, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে এবং ইংরেজি ভাষায় সাবলীল দক্ষতা থাকা আবশ্যক। কানাডার ক্ষেত্রে ফরাসি ভাষায় জ্ঞান থাকলে তা বাড়তি সুবিধা দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা ফিফার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন: fifaworldcup.com/volunteers।
অন্যদিকে, এই বিশ্বকাপ কানাডার অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যাচ্ছে। টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পে যেমন জোয়ার আসবে, তেমনি হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য পরিষেবা খাতেও ব্যবসার প্রসার ঘটবে। ফিফা এবং স্থানীয় আয়োজক কমিটি বিভিন্ন পদে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করবে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। টিকিট ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্যিক কার্যক্রম, ভেন্যু ও ইভেন্ট ব্যবস্থাপনার মতো ক্ষেত্রগুলোতে কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও কানাডার মানুষ এই বিশ্বকাপের মাধ্যমে উপকৃত হবে। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও মানুষের সাথে মেলামেশার সুযোগ তৈরি হবে। টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুভারে আয়োজিত ফ্যান ফেস্টিভ্যালগুলো আন্তর্জাতিক মিলনমেলায় পরিণত হবে, যেখানে খেলা দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া যাবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।