লাইফস্টাইল ডেস্ক::রান্নায় মসলা হিসেবে জিরা প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এই জিরার যে দারুণ সব পুষ্টিগুণ আছে সেটা আমরা অনেকেই জানি না। একশ গ্রাম জিরায় ৩৭৫ ক্যালোরি থাকে। এছাড়া এতে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, সোডিয়াম, পটাশিয়ামসহ বেশি কিছু ভিটামিনও থাকে। জেনে নিন জিরার উপকারিতা।
খাবার থেকে সৃষ্ট রোগ সারায়
জিরায় আছে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান। এটি খাবার থেকে সৃষ্ট রোগ সারাতে সাহায্য করে। মাংসসহ অন্য সব খাবারে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস প্রতিরোধ করতে পারে জিরা।
প্রদাহ রোধ করে
শরীরে আঘাতজনিত কারণে ব্যথা, প্রদাহ দেখা দিলে তা কমাতে সাহায্য করে জিরা। এমনকি আথ্রাইটিস, অ্যালার্জি, অ্যাজমা ও ক্যানসারের প্রদাহ কমাতেও উপকারী এটি।
কোলেস্টেরল কমায়
এক গবেষণায় দেখা গেছে দেড় মাস ধরে যেসব রোগী জিরা খেয়েছেন, তাদের শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা ১০ শতাংশ কমেছে।
টক্সিন দূর করে
জিরায় কিউমিনালডিহাইড, থায়মল ও ফসফরাসের মতো উপাদান থাকে, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে।
চুল পড়া কমায়
চুল পড়া রোধ করতে জিরা খুব ভালো ভূমিকা রাখে। এতে থাকা অনেক পুষ্টিকর উপাদান চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পাতলা হওয়া ও চুল পড়া রোধ করে।
অ্যানিমিয়া সারায়
জিরায় আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে। এটি অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা সারায়। তাই যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তারা জিরা খেলে উপকৃত হবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্য সারায় জিরা। এতে থাকা আঁশ বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখে। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস প্রতিরোধ হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
জিরায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
হজম শক্তি বাড়ায়
আপনি যদি হজমের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে জিরা পানি পান করলে পাকস্থলি সুস্থ থাকবে। জিরার পানি পেটে গ্যাস হওয়া রোধ করে।
হাড় মজবুত করে
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে হাড়ের ক্ষয় হয়। জিরায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই হাড় মজবুত রাখতে জিরা ভালো ভূমিকা রাখে।
তথ্য: বোল্ডস্কাই
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।