শিকার ধরার আগে পানির নিচে এক পাক ঘুরে-ফিরে নাচে হাম্পব্যাক তিমিরা। নাচতে নাচতেই ছোট ছোট বুদবুদ তৈরি করে। এই বুদবুদের চক্র চারদিক দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে শিকারকে।
এরপর পাখনা নাচিয়ে শিকারকে কব্জা। এ সময় অনেক তিমিকে গান গাইতেও দেখা যায়। তারপরই গিলে খাওয়া। হাম্পব্যাক তিমির এই অভিনব পদ্ধতিতে শিকার ধরা নিয়ে বুধবার রয়্যাল সোসাইটি অব ওপেন সায়েন্সে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরে দেখা মেলে এই তিমিদের। পূর্ণবয়স্ক পুরুষ হাম্পব্যাকরা দৈর্ঘ্যে ৪৩-৪৬ ফুট হয়। স্ত্রী হাম্পব্যাকদের দৈর্ঘ্য কিছুটা বেশি, প্রায় ৫২ ফুট। আলাস্কা উপকূলে তিন বছর ধরে ড্রোনের মাধ্যমে হাম্পব্যাকদের শিকার ধরার পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করেন বিজ্ঞানীরা।
ইউনিভার্সিটি অব আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কসের জীববিজ্ঞানী ম্যাডিসন কসমা বলেন, স্যামন খেতে খুব পছন্দ করে হাম্পব্যাকরা। স্যামনের সাঁতারের শব্দও চেনে তারা। শিকারের খোঁজ পেলেই একজোড়া হাম্পব্যাক ছুটে আসে।
স্যামনের ঝাঁক দেখলেই পরস্পরের পাখনা ছড়িয়ে পানির মধ্যে নেচে, ঘুরে-ফিরে বুদবুদের জাল তৈরি করে। এই শক্ত জাল ছাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা থাকে না শিকারের। একইরকম বুদবুদের জাল কিন্তু বারবার ফেলে না হাম্পব্যাকরা। সঙ্গিনীদের প্রেম নিবেদনের সময় উঁচু গলায় গেয়ে ওঠে পুরুষ হাম্পব্যাকরা। স্ত্রী হাম্পব্যাকরাও গায়, তবে ধীরলয়ে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।