রক্ষনাবেক্ষণ ও সংস্কার অভাবে ধ্বংসের মুখে ঘোড়াঘাট ডাকবাংলো - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ১০:০২, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

রক্ষনাবেক্ষণ ও সংস্কার অভাবে ধ্বংসের মুখে ঘোড়াঘাট ডাকবাংলো

ADMIN, USA
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
রক্ষনাবেক্ষণ ও সংস্কার অভাবে ধ্বংসের মুখে ঘোড়াঘাট ডাকবাংলো

 

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) :

অবহেলা, অযতœ ও যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসের মুখে পড়েছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা ডাকবাংলো। ডাকবাংলো মানেই আমলাদের রেষ্ট হাউজ। ব্রিটিশ সরকারের আমল থেকেই ডাকবাংলোর উৎপত্তি। দিনাজপুর জেলা পরিষদের নেতৃত্বাধীন এমনই একটি ডাকবাংলো রয়েছে ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার থানা সংলগ্ন পুরাতন বাজারে। কিন্তু ডাকবাংলোটি নির্মানের পর থেকেই আজ অবধি কোন সংষ্কার কাজ না করায় তা বর্তমানে ধ্বংসের মুখে পড়েছে। দেয়াল ও ছাঁদ ধসে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের র্দূঘটনা। ছাঁদের উপর ও দেয়াল দিয়ে গজিয়েছে বিভিন্ন জংলি গাছ। রুমের ভিতরে ছাঁদ থেকে সিমেন্ট খসে খসে নিচে পড়ছে।

ছাঁদ ধসে যাওয়ার সম্ভবনা থাকায় দাপ্তরিক কাজে সরকারী কোন আমলা এই উপজেলায় আসলে সেখানে বিশ্রাম নেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা দীর্ঘদিন সেখানে থেকেছেন। কিন্তু বর্তমানে ডাকবাংলোটিতে থাকার কোন পরিবেশ নেই।

ঘোড়াঘাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার মোহাম্মাদ আলী সওদাগর বলেন, ডাকবাংলোটি আমার নির্বাচিত ওয়ার্ডে অবস্থিত। আমি অনেক বার জেলা পরিষদের ১৫ নং সদস্য (ঘোড়াঘাট) মাধ্যমে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার সোহরাব আলী জানান, ডাকবাংলোটির ছাঁদ ও দেয়াল যেকোন সময় ধসে যেতে পারে, তাই ডাকবাংলোটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেছে দিনাজপুর জেলা পরিষদ। তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই মাঝে মধ্যে সেখানে থাকেন। ডাকবাংলোটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করার ফলে সেও এখন জেলা পরিষদে কর্মরত এবং বর্তমানে ডাকবাংলোটি দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছেন ডাকবাংলোর পরিচ্ছন্নতা কর্মী।

ডাকবাংলোটির পরিচ্ছন্নতা কর্মী অলিমা আক্তার জানান, বৃষ্টির সময় ছাঁদ থেকে পানি চুয়ে চুয়ে পড়ে। দেয়ালের প্লেস্টার খসে খসে পড়ছে। ঘোড়াঘাট থানার সাবেক ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস আলী দীর্ঘদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে রাত্রীযাপন করেছেন। কিছু দিন আগে তিনি অত্যত্র বদলী হয়ে যায়। এখন ডাকবাংলোটি তালাবন্ধ।

দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১৫ নং সদস্য (ঘোড়াঘাট) অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম বলেন, ডাকবাংলোটি পুরোপুরি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়নি। তবে ভবনের ছাঁদ ও দেয়াল ধসে যাবার সম্ভবনা থাকায় ভবনটি বর্তমানে ব্যবহারিত হচ্ছে না। ভবনটি সংষ্কার কাজের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলেই পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মানের কাজ শুরু করা হবে। ইতিমধ্যে দিনাজপুরের দু‘টি উপজেলা ডাকবাংলো সংষ্কারের ট্রেন্ডার হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে ঘোড়াঘাট উপজেলা ডাকবাংলোর কাজও শুরু করা হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।