মাগুরা প্রতিনিধি :
পৌষ মাস শুরু হয়েছে এক সপ্তাহ । পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল হলেও এর আগেই শীতের আগমন ঘটেছে মাগুরায় । শীতের প্রকোপ যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে লেপ-তোষকের চাহিদা।
মাগুরা সদরের লেপ-তোষকের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন এ সময় । মাগুরা শহরের লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কর্মচাঞ্চল্য বিরাজ করছে। বছরের অন্যান্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে, লেপের চাহিদা বাড়ে বেশি। সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে রাতে একটু আরামে ঘুমানোর জন্য দরকার লেপের উষ্ণতা। তুলা পিটিয়ে তা রঙ-বেরঙের কাপড়ের তৈরি কাভারে মুড়িয়ে সুঁই-সুতার ফোড়ে তৈরি করা হয় লেপ-তোষক। অধিক মুনাফা ও বেশি বিক্রির আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করছেন লেপ-তোষকের কারিগররা। ক্রেতারাও লেপ-তোষক কেনার জন্য ভিড় করছেন মাগুরা ডিসি অফিসের সামনের দোকানগুলোতে। যথাসময়ে লেপ-তোষক সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন কারিগররা। প্রতিদিন একজন কারিগর ছয় থেকে আটটি লেপ তৈরি করেন। প্রতি লেপে ১৫০ টাকা করে মজুরী পাচ্ছে। সদর উপজেলার অর্ধশতাধিক কারিগর মাত্র দুই-তিন মাসের শীত মৌসুমে লেপ-তোষক তৈরি করে সারা বছর সংসার চালানোর মতো অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন। মাঝারি ধরনের একটি লেপ বানাতে খরচ হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। তোষক বানাতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। তবে তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোষকের দাম কম-বেশি হয়। তিনজন লেপের চাহিদা বেশি। এর খরচ আড়াই হাজার টাকা মত।
লেপ কিনতে আসা বেলনগরের গ্রামের নাহিদ বলেন, ‘বেশি বেশি লেপ-তোষক কিনছেন সাধারণ মানুষ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি।’ তবে মাগুরায় যে শীত পড়েছে তাতে লেপ সবারই একটি করে দরকার হয়ে পড়েছে। কারিগর ছফিদ আলী বলেন, ‘সারা বছর তেমন একটা ব্যবসা হয় না। পুরো বছরের ব্যবসা শীতের এই দুই-তিন মাসে করতে হয়। শীতের শুরু থেকে ক্রেতারা লেপ-তোষকের দোকানে আসতে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রকারভেদে লেপ-তোষক তৈরির মজুরি ১৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত হয়। আগের তুলনায় ব্যবসায় প্রতিযোগিতা অনেক বেড়েছে। তাই সামান্য লাভেই কাজ করে দিতে হয়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।