সিলেটে আ.লীগে একটি শক্তিশালী ভিত রচনা করতে চাই : নাদেল
২৮ ডিসে ২০১৯, ১০:৪২ অপরাহ্ণ

সেই শৈশব থেকেই কানে ভাসতো শেখ মুজিবের ভাষন। গায়ের সকল লোমগুলো সজাগ হয়ে উঠতো ভাষণ শুনে। সেই থেকেই মুজিব আমার আদর্শ। মুজিব আমার ধ্যান। ফলে ছাত্রাবস্থাতেই দীক্ষিত হই মুজিবাদর্শে। কাজ করতে গিয়ে কখনোই মুল্যায়নের দিকে ফিরে থাকাবার ফুসরত খুঁজিনি। লড়াকু মনোভাব নিয়ে মাঠের কর্মি হিসেবে কাজ করেছি। কাজ করতে গিয়ে ভালোবাসা কুঁড়িয়েছি নেতাকর্মীদের। সত্যি বলতে কি-নিভৃতে দলের স্বার্থে কাজ করাই একজন কর্মীবান্ধব নেতার পূর্বশর্ত। আমি গ্রুপিং রাজনীতি করিনা। আওয়ামী লীগে গ্রুপ হবে একটা। যাদের আদর্শ হবে শতাব্দীর শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির পিতা শেখ মুজিব,আর নেতা হবেন একজনই। সেই নেতার নাম হবে শেখ হাসিনা।
কথাগুলো বলছিলেন মাঠ থেকে জাতীয় নেতায় অভিষিক্ত হওয়া আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
সিলেট প্রতিদিনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, প্রগতিশীল রাজনীতির পথ ধরেই শুরু হয় আমার রাজনীতি।
পিতা ছিলেন একজন প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ। ফলে ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছিল আমার অবস্থান। বিশেষ করে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নামকরণ নিয়ে যখন মৌলবাদী চক্রের আস্ফালন গোটা সিলেটে আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছিল, সেই দু: সময়ে সিলেটে গঠন করা হয় সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমি ছিলাম সেই কমিটির আহবায়ক। সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সিলেটের প্রগতিশীল সকল ছাত্রসংগঠনকে যুক্ত করে একটি সফল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেদিন আমার সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোকে রুখে দিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্কুল জীবনেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলাম। বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত মোকাবিলা করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের সৌভাগ্য হয়েছিল। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি।
জীবনে কখনো ভাবিনি আমার আদর্শের ঠিকানা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে সংযুক্ত হব। আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী, দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার মত তৃণমূলের একজন নগন্য কর্মীকে যে মূল্যায়ন করেছেন তাতে আমি
উচ্ছ্বসিত,উজ্জিবিত।মহান আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার,প্রাণপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দর্শন বাস্তবায়নই আমার অঙ্গিকার। নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কতৃত্ব নয়, দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সংগঠনকে বিকশিত করবো ইনশাআল্লাহ।সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি-নেতা হওয়ার জন্য রাজনীতি করিনি। আমি কর্মীদের ভালোবাসা নিয়েই আগামীর পথে পা রাখতে চাই। দলকে বিভাজন এবং কালিমা লেপনের হাত থেকে রক্ষা করতে চাই, সর্বোপরি সিলেটে আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী ভিত রচনা করতে চাই।