সৈয়দপুর (নীলফামারী) :
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে নীলফামারীর সৈয়দপুরের আকাশ পথে ও রেলপথে চলাচলে মারাত্মকভাবে সিডিউল ব্যাহত হচ্ছে। এতে চড়ম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রেল ও আকাশ পথের যাত্রীদের।
জানা যায়, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সৈয়দপুর হয়ে প্রতিদিন নীলসাগর, রুপসা, তীতুমীর, বরেন্দ্র, সীমান্ত, লোকাল মিলে ৬ টি ট্রেন চলাচল করে। এক্ষেত্রে নীলসাগর রাত ১০.১৫ মিনিট, বরেন্দ্র সকাল ৬ টা, তিতুমীর বিকাল ৪ টা, সিমান্ত দুপুর ১২ টা, রুপসা রাত ১২ টায় ছাড়ে। তবে কুয়াশার কারণে ট্রেনের এই সুচী দির্ঘ ১ মাস ধরে ব্যাপক অপরিকল্পিপত সময়ে চলাচল করছে। এর প্রভাবে সৈয়দপুর ষ্টেশনে চলাচলকারী সকল ট্রেনের শিডিউল বির্পযয় ঘটেছে। প্রতিটি ট্রেন ৫ থেকে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত দেরী হচ্ছে। এতে যাত্রীরা বিপাকে পড়েছে। অনেক দুরান্তের যাত্রীরা ট্রেন ধরতে স্টেশনেই রাত-দিন পার করছেন।
এদিকে, আকাশ পথেও বিমানের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। ঢাকা-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে ইউএস বাংলা,নভোএয়ার ও বাংলাদেশ বিমানের মিলে ১১ টি ফ্লাইট উঠানামা করছে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে। তবে কোন দু-একটি বাদে কোন ফ্লাইট সময়নুযায়ী উড্ডয়ন এবং অবতোরন করতে পারছে না। এতে ফ্লাইটের যাত্রীরা সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। অনেক যাত্রী আবার যাত্রা বাতিল করে ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দর সূত্র জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা ও ১০টা ৪০ মিনিটে যথাক্রমে নভোএয়ার ও ইউএস–বাংলা এয়ারলাইনসের দুটি ফ্লাইট অবতরণের সময় ছিল। কিন্তু সৈয়দপুরের ঘন কুয়াশার কারণে দুটি ফ্লাইটই ঢাকা থেকে এক ঘণ্টা পর ছেড়ে যায়। রবিবারও একই ঘটনা ঘটে। নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টায় উড্ডয়নের কথা ছিল তবে ঢাকা থেকে সেটি ২ ঘন্টা দেড়িতে ছাড়বে বলে জানানো হয় যাত্রীদের। এভাবে গত ১৫ দিন ধরে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সকাল ও বিকালের শিফটের সবগুলো ফ্লাইটের সিডিউলে বিপর্যয় ঘটে জানা গেছে। কারণ বিমান চলাচলের জন্য সর্বনিম্ন এক হাজার মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) থাকার প্রয়োজন। কিন্তু ঘন কুয়াশায় সকালে দিকে দৃষ্টিসীমা এক হাজার মিটারের অনেক কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১০০ থেকে ১২০০ মিটারে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের এক বিমান যাত্রী জানান, জরুরি কাজের জন্য সকালের ফ্লাইটে ঢাকা গিয়ে কাজ শেষ করে বিমানের ফ্লাইটে আবার ফিরে আসব। কিন্তু ফ্লাইট বিলম্বের কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই যাত্রা বাতিল করে ফিরে যাচ্ছি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুশান্ত কুমার দত্ত শিডিউল বিপর্যয়ের কথা স্বিকার করে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে উড্ডয়ন– ও অবতরণে বিপর্যয় ঘটছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।