কাপাসিয়ায় খেয়াঘাটের সড়ক না থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৬:০৭, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

কাপাসিয়ায় খেয়াঘাটের সড়ক না থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে

ADMIN, USA
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৩, ২০২০
কাপাসিয়ায় খেয়াঘাটের সড়ক না থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে

কাপাসিয়া (গাজীপুর) :
কাপাসিয়া উপজেলা সদর থেকে বানার নদী হয়ে তরগাঁও এলাকায় যাওয়ার খেয়াঘাটে সড়ক না থাকায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ পড়ছে ভোগান্তিতে। ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে নদীর উত্তর পাশের আট ইউনিয়নের মানুষকে নদী পার হয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে কাঁচাবাজারের কাঁচামাল সৃষ্ট ময়লা-আবর্জনার স্তূপ ও কাদা যুক্ত পানিতে পা ভিজিয়ে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। বাঁধানো ঘাটে নৌকা ভিড়াতে অসুবিধা ও ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত নর্দমার কারণে প্রায় দশ বছর ধরে নিজেদের ইচ্ছে মতো জায়গা তৈরি করে ঘাট হিসেবে ব্যবহার করছে মাঝিরা। বর্তমানের ঘাটটি ব্যবহার যোগ্য হলেও যাতায়াতের জন্য নেই কোন সড়ক। ফলে বাধ্য হয়ে কাঁচাবাজারের ভিতর দিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক থেকে ২শ মিটার উত্তরে খেয়াঘাট। সারি সারি কাঁচামালের দোকান। তার ভিতর দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। হাস, মুরগি ও কৃষকের চাষ করা সবজি বাজারে নিয়ে আসতে হয়রানির অন্ত নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নদীর উত্তর পাশে হওয়ায় সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়ছে রেগীরা। পুরনো বাঁধানো খেয়াঘাট এখন আবর্জনার স্তূপ। হাত দিয়ে নাক ডেকে মূত্র ত্যাগ করেছে মানুষ। নদীর উত্তর পারের ৮ ইউনিয়নের ১৪৫ গ্রামের মানুষ সড়কের অভাবে কষ্ট করছে।
তরগাঁও গ্রামের মাঝি রায়হান উদ্দিন ও সিদ্দিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘাটে ৩৫টি নৌকা সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। জনপ্রতি ভাড়া ৩ টাকা। নবীপুর গ্রামের মাঝি মফিজুর রহমান বলেন, ১৫ বছর ধরে নৌকা চালাই। বাঁধানো ঘাট ৬ মাস ব্যবহার করেছিলাম। ঘাটে লেগে নৌকা ভেঙে যায়। তাই সড়ক ছাড়া ঘাটেই নৌকা রাখি এখন।
কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সজিব, মাসুম ও ইমরান বলেন, বাজারের ভিতর দিয়ে কলেজে যেতে হয়। সড়কসহ ঘাট থাকলেও মাঝিরা ঘুরে আসে। সরু গলিতে প্রায়ই জনজট লেগে যায়।
ভারী বোঝা ও ঝুড়িভরে সবজি আনতে বেকায়দায় পড়তে হয় বলে বামনখোলা গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন জানান।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. মো. আমানত হোসেন খান বলেন, খেয়াঘাটে যাওয়ার সড়ক না থাকায় মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বাজারের ভিতর দিয়ে মালামাল নিয়ে চলাচল করতে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়ছে। মহিলাদেরও বাধ্য হয়ে বাজারের ভিতরে ঢুকতে হচ্ছে। মানুষের এমন ভোগান্তির বিষয়টি আমি দেখেছি। জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।