বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী রাজনৈতিক বন্দি – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৭:৩৭, ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী রাজনৈতিক বন্দি

প্রকাশিত মার্চ ১০, ২০২০
বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী রাজনৈতিক বন্দি

তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে ৬ বছর বয়সে, ১৯৯৫ সালে আটক করে চীনের কর্তৃপক্ষ।

তাকে বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী রাজনৈতিক বন্দি বলে মনে করা হয়। এরপর ২৫ বছর পার হয়ে গেলেও তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি।

আর এ ব্যাপারটি এই ধর্মকে একটি জটিলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিব্বতের বুদ্ধরা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করেন। যখন এই ধর্মের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ গুরু পাঞ্চেন লামা ১৯৮৯ সালে রহস্যজনক কারণে মারা যান তখন তার পুনর্জন্ম ছিল কিছু সময়ের ব্যাপার মাত্র।

অনেকে মনে করেন, চীনা সরকার তাকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করেছে। ১৯৯৫ সালের ১৪ মে তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর প্রধান গুরু দালাই লামা ঘোষণা দেন, পাঞ্চেন লামার নতুন দেহধারীকে তিনি খুঁজে পেয়েছেন। সে হল তিব্বতের নকচু শহরের একজন চিকিৎসক ও সেবিকা দম্পতির ছয় বছরের ছেলে গিনডু চোকি নিমা। দালাই লামা ১৯৫৯ সালে তিব্বত ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন এবং সেখানে প্রবাসী তিব্বতি সরকার গঠন করেন।

গিনডু চোকি নিমা এবং তার পরিবারকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় চীন এবং কিছু অনুগত বুদ্ধ নেতার সহায়তায় আরেকটি ছেলেকে পুতুল পাঞ্চেন লামা হিসেবে নির্বাচিত করে।

১৯৯৫ সালের ১৭ মে আটক করা হয় গিনডু চোকি নিমাকে। সাউথ চায়না মনিং পোস্টকে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি এখন চীনের উত্তরাঞ্চলের গ্যানসুতে বসবাস করেন। আরেকটি ধারণা হল, তাকে বেইজিংয়ের আশপাশে কোথাও আটকে রাখা হয়েছে।

২০০০ সালের অক্টোবরে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিন কুক হাউজ অফ কমন্সের বৈদেশিক সম্পর্ক নির্ধারণ কমিটিকে বলেছেন, ‘যতবার আমরা গিনডু চোকি নিমার সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছি, চীন সরকার আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছে, তিনি সুস্থ রয়েছেন এবং তার যত্ন নেয়া হচ্ছে। তবে তার পিতামাতা এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চান না। তারা দুটি ছবি দেখিয়েছে, যাতে গিনডু চোকি নিমা তার বাড়িতে রয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে। তবে এগুলো আমরা নিজেরা যাচাই করে দেখতে পারিনি।’

২০০০ সালের ওই ছবির একটিতে দেখা গেছে সে টেবিল টেনিস খেলছে। আরেকটি ছবি তার পেছন দিক থেকে তোলা, যেখানে সে ব্লাকবোর্ডে চীনা ভাষায় কিছু লিখছে। ছবিগুলো দেখানো হলেও সেগুলো হস্তান্তর করা হয়নি।

এ লেখার শুরুর ২য় ছবিটি এসেছে ফরেনসিক শিল্পী টিম উইডেনের বয়স-অগ্রগতি ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। দালাই লামার অনুসন্ধানী দল ১৯৯৪-৯৫ সালে গিনডু চোকি নিমাকে খুঁজে বের করার পর যে ছবি তোলে, সেটিই তার একমাত্র ছবি। পাঞ্চেন লামার ৩০তম জন্মদিন উপলক্ষে ওই ছবিটিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্তমান চেহারা বের করার চেষ্টা করেছেন টিম উইডেন।

সাধারণত নিখোঁজ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যেখানে অনেক ছবি, বাবা-মা বা ভাইবোনদের চেহারা বিবেচনায় নেয়া হয়। কিন্তু এখানে শুধু একটি ছবির ওপর ভিত্তি করে বর্তমান চেহারা বের করার চেষ্টা করা হয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।