প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেছেন, করোনার কারণে সারা বিশ্ব আজ আতঙ্কিত। আমার মনে হয় সারাবিশ্বে আগে কখনো এমন পরিস্থিতি দেখেনি। করোনায় গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির। বন্ধ রয়েছে মসজিদ-মন্দির-গির্জাসহ সব প্রার্থনার কেন্দ্র। এই সংকটে দেশে যেন খাদ্যর সমস্যা না হয় সেজন্য সব জমিতে ফসল ফলাতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে।
সোমবার ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাসমূহের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এই আহ্বান জানান তিনি। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়। ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তুপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের থাবা এসে পড়েছে। সবাইকে এ ব্যাপারে সুরক্ষিত থাকতে হবে। আমাদের দেশের অনেকেই এটি ভালোভাবে মানতে চান না। যার ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সারাবিশ্ব এই ভাইরাসের জন্য আতঙ্কিত। আমার মনে হয় বিশ্বে এ ধরনের পরিস্থিতি এর আগে কখনো তৈরি হয়নি। বিশ্বে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির। এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মক্কা-মদিনা, মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা সবকিছু বন্ধ। বাংলাদেশেও বিশ্বের একটি দেশ। তাই যথাযথ ব্যবস্থা আমরা শুরু থেকেই নেয়া শুরু করেছি।
করোনা প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেসব নির্দেশনা যেন সকলে মেনে চলেন। মানুষের সমাগম হয় সেখানে না থাকা, নিজেকে সুরক্ষিত রাখা, এটা একান্তভাবে প্রয়োজন। এটা জেনে করা হয়। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এসব জেলায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি। সাথে সাথে দেখতে পাচ্ছি কিছু কিছু জেলা আক্রান্ত হয়নি। এসব জেলায় যাতে প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে না পড়ে সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।