শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  চিকিৎসক একজন ! - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৬:৩৪, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  চিকিৎসক একজন !

STAFF USBD
প্রকাশিত মে ১৯, ২০২০
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  চিকিৎসক একজন !

 হবিগঞ্জ  :

আজ থেকে আড়াই বছর পূর্বে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা, ব্রাহ্মণডোরা, নূরপুর ও শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন মিলে প্রায় সাড়ে ৩৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ঘোষণা করা হয় নতুন এ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলায় প্রায় দেড়লাখ মানুষের বসবাস এবং তাদের চিকিৎসার জন্য সরকারি চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র একজন। এই একজন চিকিৎসক দ্বারা এতো মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রদান একেবারে অসম্ভব। ফলে সরকারি চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়ে রোগীরা যাচ্ছেন প্রাইভেট হাসপাতাল ও প্রাইভেট চেম্বারে। সেখানে অতিরিক্ত ভিজিট ও অহেতুক খরচ হয় বিধায় নিম্নআয়ের লোকজন ভিড় করছেন অস্থায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসক সংকট থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সাদ্দাম হোসেন। এখানে রোগীদেরও দুর্ভোগের শেষ নেই পাশাপাশি রোগীর ভীড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার। ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর উপজেলাটি অনুমোদন লাভের পর শায়েস্তাগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি রুম মেরামত করে সেখানেই চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম। আড়াই বছর অতিবাহিত হলেও এখনো হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিজস্ব ভবন। শুরু হয়নি পুরো কার্যক্রম। অস্থায়ী কার্যালয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দেড়লাখ মানুষের চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. সাদ্দাম হোসেন।

এ বিষয়ে ডা. সাদ্দাম হোসেন বলেন, নিম্নআয়ের লোকজনের মাঝে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। প্রয়োজনীয় লোকবল আর সরঞ্জামাদি না থাকায় ঠিকমতো সেবা দিতে পারছি না। আমি একজনের পক্ষে এতোগুলো মানুষের সেবা দেয়া খুবই কঠিন।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলিছুর রহমান উজ্জল বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এখানে একাধিক চিকিৎসক বসার ব্যবস্থাও নেই। এখন করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসক পাওয়া খুবই মুশকিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একাধিক চিকিৎসক পদায়ন করা হবে।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান। করোনাভাইরাসের কারণে তা বন্ধ রয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অধিগ্রহণ করা জমিতে উপজেলা ভবন ও ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। অস্থায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে বসার তেমন কোনো জায়গাও নেই। আর করোনার কারণে নতুন চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে এমপি আবু জাহিরের ডিও লেটার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এখানে একাধিক চিকিৎসক থাকবেন।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।