করোনাকালে আসছে সবচেয়ে বড় ঘাটতির বাজেট
০৯ জুন ২০২০, ১২:৪৫ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকার পরও প্রতিবছরই বড় বাজেটের রেকর্ড ভেঙেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে থমকে যাওয়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে চাঙ্গা করতে আসন্ন (২০২০-২১) অর্থ বছরের জন্য সাম্ভব্য বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। বর্তমান বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে চলতি বাজেট থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকা বা ১২ শতাংশ বেশি। তবে আসন্ন বাজেটের সাম্ভব্য ঘাটতি এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি বাজেটের ঘাটতি থেকে ৪৫ হাজার (জিডিপির প্রায় ৬ শতাংশ) কোটি টাকা বেশি। এটি আগের যে কোনো বছরের তুলনায় সবচেয়ে বড় ঘাটতির বাজেট। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আগামী ১১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বিশাল অঙ্কের এই বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি হবে স্বাধীন বাংলাদেশের ৪৯তম বাজেট এবং বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বাজেট ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর দ্বিতীয় বাজেট।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা-দুর্যোগে স্বাস্থ্য, খাদ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ নানা খাতে সরকারি ব্যয় বেড়েছে। বিনামূল্যে চাল বিতরণ, দশ টাকা দামে গরিব মানুষকে চাল সরবরাহ করা, করোনাকালীন কর্মহীন মানুষকে নগদ টাকা দেওয়া, অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণাসহ নানা আর্থিক সুবিধা দেওয়ায় ভর্তুকির চাপ বেড়ে গেছে। এজন্য করোনাকালীন সংকট মোকাবিলায় এই বিশাল অঙ্কের বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে করোনা ভাইরাস পরবর্তী অর্থনীতি মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সামাজিক ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপরেও জোর দেওয়া হবে। তবে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই দুই খাতে থাকছে বিশেষ প্রণোদনা। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকিসহ এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ খাতে বরাদ্দ আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ করা হচ্ছে। বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অনেক বাড়ানো হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সহায়তায় কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।