মানব পাচাররোধে আর কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ৯:২০, ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

মানব পাচাররোধে আর কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে

প্রকাশিত আগস্ট ১৫, ২০২০
মানব পাচাররোধে আর কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে

সম্পাদকীয়:

লিবিয়ায় পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের নির্যাতনের বিষয়টি উদ্বেগজনক। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে লিবিয়ার মিজদা শহরে মানব পাচারকারী চক্রের সহযোগীদের নির্বিচার গুলিতে অভিবাসন প্রত্যাশী ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছিলেন। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গতকাল যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের অন্যতম হোতা বাংলাদেশের মনির হাওলাদারের বন্দিশালায় অন্তত ২৮ বাংলাদেশি অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাধারণত মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়া যেতে দেশের বিভিন্ন এলাকার সহজ-সরল মানুষকে প্রলুব্ধ করত মানব পাচারকারী চক্রটি। পরে পাচার হওয়া লোকজনের আত্মীয়স্বজনের কাছে চুক্তির টাকাসহ অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে তা আদায়ের লক্ষ্যে কার্যত বন্দি’ থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রচণ্ড মারধর করা হতো। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ও কান্নার শব্দ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেশে অবস্থানরত পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়স্বজনকে শোনানো হতো। কেবল লিবিয়া নয়, সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের প্ররোচনায় মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে অবৈধ পথে পাড়ি জমাতে গিয়ে অনেক বাংলাদেশি নিজেদের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। এ অবস্থার অবসান জরুরি। বিদেশে আর একজন বাংলাদেশিও যাতে অনাকাক্সিক্ষত নির্যাতন কিংবা হত্যাকাণ্ডের শিকার না হন, সে জন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে অবৈধ মানব পাচার চক্রের শেকড় সমূলে উপড়ে ফেলার ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেয়া চলবে না। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন করতে হবে, যাতে তারা প্রলোভন ও মিথ্যা আশ্বাসে অবৈধ কোনো প্রক্রিয়ায় কর্মসংস্থানের উদ্দেশে বিদেশে পাড়ি না জমান। মানব পাচারের মতো অপরাধ রোধে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ যেমন প্রয়োজন, তেমনি বিদেশ গমনেচ্ছুদেরও সতর্ক ও সচেতন হওয়া জরুরি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।