নিউজ ডেস্ক, নিউইয়র্ক: ২০ সেপ্টম্বর থেকে অনলাইন শপের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য নায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবি। এতে সহযোগিতা করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রির শুরুতে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যায় কেজি প্রতি ২০ টাকা। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে টিসিবির অনলাইন বিক্রির ক্ষেত্রে আরও একদফা দাম কমানো হয়েছে। অনলাইন শপগুলো এখন ৩৬ টাকা কেজির পরিবর্তে ২৩ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছে এবং ৩ কেজির পরিবর্তে জনপ্রতি যত কেজি প্রয়োজন নিতে পারবে।
রোববার ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহে দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। শুরুতে শুধুমাত্র ঢাকায় ৮টি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পেয়াজ বিক্রি করলেও বর্তমানে আরও ১০টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জের অনলাইন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভবিষ্যতে পেঁয়াজের পাশাপাশি অনলাইনে টিসিবির অন্যান্য পণ্য বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। ই-ক্যাব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবি একটি যৌথ নীতিমালার অধীনে নির্বাচিত অনলাইন গ্রোসারিশপগুলো বিধি মেনে সরকার নির্ধারিত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ আছে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এছাড়া মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। টিসিবির পাশাপাশি ই-কমার্সের মাধ্যমেও কম দামে আমদানি করা এই পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।’
ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘অনলাইনে যেহেতু পণ্যের দাম উল্লেখ থাকে তাছাড়া আমাদের বেশ কয়েকটি সদস্য প্রতিষ্ঠান সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করেছে এবং অনেকে নুনতম ডেলিভারি চার্জ কিংবা কোনো ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই পেঁয়াজ বাসায় পৌঁছে দিয়েছে। প্রথম দিকে সরবরাহ কম থাকলেও এখন অনলাইনে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। ফলে বাজারে আশাতীতভাবে পেঁয়াজের দাম কমেছে। ই-কমার্স সেক্টরের জন্য দেশের অর্থনীতিতে এটা একটা উল্লেখযোগ্য অবদান।’
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।