গ্রামে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৭:১২, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

গ্রামে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে

editor
প্রকাশিত মে ১২, ২০২১
গ্রামে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে

সম্পাদকীয়:

বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে দলে দলে মানুষ ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গ্রামে যাচ্ছে। এ কারণে গ্রামে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। ‘ঘরে’ ফেরার জন্য মানুষ কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে, তা ফেরির জন্য অপেক্ষমাণ জনস্রোতের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়। ফেরিঘাটের পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল যে, জায়গার অভাবে রোগী ও মরদেহ নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্সকেও ফেরিতে তোলার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফেরি চলাচল সীমিত থাকায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করেই মানুষ নদী পার হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কেও তীব্র যানজট লক্ষ করা যাচ্ছে। এ যানজটের কারণ ঘরমুখো মানুষের যানবাহনের দীর্ঘ সারি। মাইক্রোবাস, ছোট গাড়ি, ছোট ট্রাকের পেছনে গাদাগাদি করে বসে অনেকে বাড়ি ফিরছে। কেউ জানে না পাশেরজন করোনার মতো প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত কি না। এমনও দেখা গেছে, মোটরসাইকেলের দুপাশে ঝুলছে ব্যাগ এবং পেছনে বাচ্চাসহ মহিলা যাত্রী। সবাই ঈদে বাড়ি যাচ্ছে। অথচ এবার ঈদে কর্মস্থলে থাকার কঠোর নির্দেশ রয়েছে, যে কারণে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চ সব বন্ধ করে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঘরমুখো মানুষকে আটকানোর জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যেত। মানুষ যখন বেরিয়ে পড়ে, তখন তাদের আটকানো কঠিন হয়। ঘরমুখো মানুষকে যদি যাত্রাপথের শুরুতে আটকানো যেত, তাহলে পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করত না। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাচ্ছে। এতে তাদের খচর বেড়েছে কয়েকগুণ এবং বেড়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। বস্তুত কেউ যাচ্ছে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করতে; আবার অনেকে শহরে কাজ হারিয়ে গ্রামে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।