নিউজ ডেস্কঃ
করোনা মহামারিতে দ্বিতীয় বছরের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র হজ। আগামী সোমবার (১৯ জুলাই) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিকতা। সৌদি আরবের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা থেকে মক্কায় পৌঁছাবেন মুসল্লিরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনা মহামারির আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালে ২৫ লাখ মুসল্লি হজে অংশ নিয়েছিলেন। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ২০২১ সালে মাত্র ৬০ হাজার মুসল্লিকে হজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বছর হজের অনুমতি পাওয়া সবাই কোভিড-১৯ টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন। তাঁরা সবাই সৌদি আরবের নাগরিক ও বাসিন্দা। শুধু ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সীরাই এবারের হজের অনুমতি পেয়েছেন। সৌদি আরবের বাইরে থাকেন এমন কেউ এ বছর হজের অনুমতি পাননি।
হজের অনুমতি পাওয়া আমিনা নামের একজন আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমি নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করছি। চলতি বছর হজের অনুমতিপ্রাপ্তদের মধ্যে থাকতে পেরে।’
৫০ বছর বয়সী সৌদির এক বাসিন্দা বলেন, ‘এবারই প্রথমবারের মতো পুরুষ অভিভাবক ছাড়া হজের অনুমতি দিয়েছে সৌদি। তাই আমি এবার অন্য নারীদের সঙ্গে হজে অংশ নিচ্ছি।’
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসে রেজিস্ট্রেশন চালু করার পর ২৪ ঘণ্টাতেই জমা পড়েছিল সাড়ে চার লাখের বেশি আবেদন। গত পাঁচ বছর যাঁরা হজ করেননি, তাঁদের এবার অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যাঁদের বয়স ৫০–এর বেশি কিন্তু এখনো হজ করেননি, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি এবং মহামারি ছড়িয়ে পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে এবার হজে অংশ নেওয়া আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক ব্যয়বহুল।
সাইফ নামের একজন আল-জাজিরাকে বলেন, ‘ছয় বছর আগে যে প্যাকেজের জন্য তিন হাজার রিয়াল (৮০০ ডলার) খরচ হয়েছিল, এ বছর একই প্যাকেজের খরচ ২০ হাজার রিয়াল (৫৩০০ ডলার)।
স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিত করতে প্রতি ২০ জনের জন্য একজন করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিযুক্ত করেছে হজ কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্ধারিত চারটি অভ্যর্থনা গেটের মাধ্যমে হাজিদের পবিত্র কাবা শরিফে প্রবেশ করতে হবে। এ চারটি অভ্যর্থনা গেট হচ্ছে—আল জাইদি, আল নুরিয়া, আল শারায়েই ও আল নাসিম। এই গেটগুলো ছাড়া মসজিদুল হারামে অন্য কোনো স্থান দিয়ে প্রবেশের সুযোগ নেই।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।