বাড়ছে ডেঙ্গু, প্রয়োজন সচেতনতা  - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ২:৪০, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

বাড়ছে ডেঙ্গু, প্রয়োজন সচেতনতা 

newsup
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৪, ২০২২
বাড়ছে ডেঙ্গু, প্রয়োজন সচেতনতা 

নিউজ ডেস্কঃ ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ বলে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে। বলা যায় আমাদের এখন সে দশাই চলছে। একে তো করোনার প্রকোপ তারপর বাড়ছে ডেঙ্গু। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকা ছাড়া আসলে কোন উপায় নেই। আর ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় হল মশা উপদ্রব কমানো।

কারণ আমরা সবাই জানি, এডিস মশাই ডেঙ্গু জ্বরের কারণ। এডিস মশার উপদ্রব কমাতে যে সকল সতর্কতা আমাদের মানতে হবে, সাধারণত এডিস মশা স্বচ্ছ পানিতে ডিম পারে এবং বংশ বিস্তার করে৷ তাই খেয়াল রাখতে বাড়ীর আশেপাশে বা বাড়ীর আঙ্গিনায় কোথাও যেন পানি না জমে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জমে থাকার বৃষ্টির পানিতে এডিস মশার বংশ বিস্তার হয়, যেটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করার জন্য একমাত্র উপায় হচ্ছে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। এটি করতে না পারলে চিকিৎসা দিয়ে কুলানো সম্ভব হবে না বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ঢাকায় অনেকেই ছাদকৃষির সাথে জড়িত। তাছাড়া বহু মানুষ বারান্দায় গাছ লাগান। গাছের গোড়ায় পানি জমে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি ঘটতে পারে। তাই প্রতিদিন গাছের গোড়ায় পানি জমেছে কি না তা লক্ষ্য রাখতে হবে। পানি জমে গেলে সাথে সাথে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।

তাছাড়া প্লাস্টিকের বোতল বা অন্য কোনো জিনিস ব্যবহারেও সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে এডিস মশা যেন জন্ম নিতে না পারে তারজন্য চারপাশ যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে। এত সতর্কতা সত্ত্বেও যদি কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েই যায় তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মালয়েশিয়ার এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডেঙ্গু জ্বরের কারণে রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে পেঁপে পাতার রস তা দ্রুত বৃদ্ধি করে। রক্ত প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে প্রতিদিন পেঁপে পাতার রস কিংবা পাকা পেঁপের জুস পান করলে উপকার পাওয়া যাবে বলে গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে অবশ্যই মশক নিধনের ব্যবস্থা করতে হবে৷ সম্ভব হলে বাড়ী চারপাশ, ড্রেন নর্দমা এসব পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি স্প্রে করতে পারেন।

মশা যাতে কামড়াতে না পারে সে ব্যবস্থাও করতে হবে। যেমন শুধু রাতে নয়, দিনের বেলাও ঘুমানোর সময় মশারী টানাতে হবে। বাসায় মশার স্প্রে করতে পারেন।  বাসার প্রতিটি স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। মশা বিরোধী বিভিন্ন ক্রিম ও তেল পাওয়া যায়।  শরীরের খোলা অংশে তা ব্যবহার করতে পারেন৷ বিশেষ করে বাচ্চাদের প্রতি একটু বেশি নজর রাখবেন। তাদেরকে ফুল হাতার জামা ও প্যান্ট পড়িয়ে রাখুন।

ঘরে মশার প্রবেশ রোধ করতে দরজা জানালায় নেট লাগাতে পারেন। বাড়ীর ছাদ কিংবা বারান্দা কোথাও কোন পানি জমতে দেবেন না৷ বাড়ীর পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখতে চেষ্টা করুন৷

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।