মাহমুদুল হাসান চন্দন, ভেড়ামারা প্রতিনিধি :-
কুষ্টিয়া ভেড়ামারাতে অব্যাহতভাবে বাড়ছে খাদ্যপণ্যের মূল্য। এর ফলে মূল্যস্ফীতিতে দেখা দিয়েছে ঊর্ধ্বমুখিতা। আর মূল্যস্ফীতি বাড়া মানেই নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভোগান্তি বৃদ্ধি।
বাংলাদেশেও ওমিক্রনের প্রভাব বাড়ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এতে খাদ্য উৎপাদন, বণ্টন, সরবরাহ পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব।বাংলাদেশে চলমান শীতে সবজির ভরা মৌসুমেও তরিতরকারির দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। চাল, ডাল, তেল, আটা, চিনি, আদা, রসুন, পিঁয়াজের দামও চড়া প্রায় দুই বছর ধরে।
এদিকে করোনাভাইরাস কারণে অধিকাংশ মানুষের আয় কমে গেছে। অথচ জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে অব্যাহতভাবে। ফলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কয়েক মাস ধরে খাদ্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, পিঁয়াজ, রসুনের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এতে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বেশি হওয়ার কথা। মূল্যস্ফীতি বাড়লে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। ফলে কমে গেছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। অথচ জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে মানুষের ভোগান্তি আরও চরমে পৌঁছে যাবে।
প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও বাড়ছে না মানুষের আয়। সেই সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে পরিবহন ব্যয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি তদারকির অভাবে বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না। উৎপাদন, মজুদ, সরবরাহ ও বণ্টনের মধ্যে রয়েছে ফারাক। ফলে বিপণন ও মজুদের সঙ্গে জড়িতরা খুব সহজেই সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের বাজারে প্রভাব বিস্তার করে। এতে দাম বেড়ে যায়।