বিশেষ প্রতিবেদন: জমিতে সেচ দিতে গিয়ে রাত ৮টার দিকে সাপে কাটার শিকার হন এক কৃষক। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কাটা স্থানের উপরে বাঁধন দেওয়া হয় তার। এরপর যান স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে। ঝাড়-ফুঁক দিয়ে পায়ে থাকা বাঁধন খুলে দেন কবিরাজ। তিনি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, ‘বিষ নেমে গেছে।’ কিন্তু রাতেই অবস্থার অবনতি হয় ওই কৃষকের। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এটি কোনও গল্প নয়। চলতি বছরে বগুড়ার ধুনটে এ ঘটনা ঘটে। অথচ স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটার ইনজেকশন থাকার কথা। মে মাসে এই অ্যান্টিভেনম পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও তা বেশকিছু জায়গায় পৌঁছায়নি। অনেক জায়গা অ্যান্টিভেনমের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এমনকি যেসব জায়গায় অ্যান্টিভেনম আছে, প্রচারণার অভাবে সেসব এলাকার মানুষ এখনও কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে বিপদে পড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে মোট ১৭৬ প্রজাতির সাপ রয়েছে এদের মধ্যে ২৮টি প্রজাতি বিষধর। বিষধর ১২ প্রজাতির সাপের অবস্থান সাগরে। বাকিগুলো গহীন জঙ্গলে এবং লোকালয়ে বসবাস করে। বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুমে প্রতি বছর অন্তত ৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন এবং অন্তত ৬ হাজার মানুষ মারা যান।
গত মে মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সারাদেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে জানানো হয়, এখন থেকে সাপে কাটা রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেই দিতে পারবেন অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।