৪৮৮ উপজেলায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পাবে ১০ কোটি মানুষ - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ১:০৪, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

৪৮৮ উপজেলায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পাবে ১০ কোটি মানুষ

newsup
প্রকাশিত জানুয়ারি ৫, ২০২৩
৪৮৮ উপজেলায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পাবে ১০ কোটি মানুষ

বিশেষ প্রতিবেদন: সরকার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্রডব্যান্ড লাইনের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। উচ্চগতির নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি বাড়াতে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো-সরকার তৃতীয় পর্যায়, তৃতীয় সংশোধিত) শীর্ষক একটি প্রকল্প নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্রাম-শহরের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে বিদ্যমান বৈষম্য হ্রাস পাবে। এর ফলে দেশের ১০ কোটি প্রান্তিক মানূষ উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাবে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মূলত চারটি উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। উদ্দেশ্যগুলো হচ্ছে—

ক. ৬৩ জেলার (মেহেরপুর জেলা বাদে) ৪৮৮টি উপজেলার ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে উচ্চগতির ক্ষমতাসম্পন্ন নেটওয়ার্ক অবকাঠামো স্থাপন করা।

খ. বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে এক হাজার অফিসের মধ্যে একটি ভারচুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ( ভিপিএন) সংযোগ স্থাপন করা।

গ. বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য ই-সেবা নিশ্চিতকরণ, আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ৬০ শতাংশ জনগণের ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।

ঘ. তৃণমূল পর্যায়ের সরকারি অফিস এবং শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংযোগ স্থাপনের জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) এর সক্ষমতা বাড়ানো, শহর এবং গ্রামের ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করা।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মোট ২ হাজার ১৪১ কোটি ৪২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে চলতি ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনেতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাওয়া ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয় সংশোধনী প্রকল্প। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে ৯১৪ কোটি টাকা। এর বাইরে প্রকল্প ঋণ বাবদ ১ হাজার ২২৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা দেবে চায়না এক্সিম ব্যাংক। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নেওয়া প্রথম সংশোধনী প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারতি ছিল ২ হাজার ৩৯ কোটি ৪৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। প্রথমবার ব্যয় না বাড়ানো ব্যতিরেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩০ জুন। কিন্তু বর্তমানে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৩ সালের ৩০ জুন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।