তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল?

Daily Ajker Sylhet

newsup

১০ জানু ২০২৩, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ


তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল?

ডেস্ক নিউজ: রাতের শেষ ভাগে তাহাজ্জুদের নামাজের পাশাপাশি আল্লাহর দরবারে চোখের পানি ফেলা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া খাঁটি ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য। ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে— ‘তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, অনুগত ব্যয়কারী ও রাতের শেষ প্রহরে ক্ষমাপ্রার্থী।’ -(সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৭)

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে আরও বলেন, ‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে। এটা তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব। অচিরেই তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৯)

আলেমদের মতে, তাহাজ্জুদ নামাজের বিধান সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদা বা নফল। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ নামাজ চার, ছয়, আট, ১০ রাকাত প্রমাণিত। এর থেকে বেশি বা কম পড়াতেও কোন সমস্যা নেই। যেহেতু নফল, তাই যত ইচ্ছা পড়া যায়। তবে উত্তম হল আট রাকাত পড়া।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রাত্রির কিছু অংশ তাহাজ্জুদসহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্যে অতিরিক্ত।’ (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত, ৭৯)

হজরদ আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আয়েশা রা.-কে জিজ্ঞাসা করেন যে, রমজানে নবীজীর নামাজ কেমন হত? তিনি উত্তরে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানে এবং রমজানের বাইরে ১১ রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না! এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য!

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।