বিশেষ প্রতিবেদন: রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি, বাসাবাড়িতে গ্রিল কেটে চুরির মতো অপরাধ রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। চোরদের সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একাধিক মামলা থাকার পরেও বিভিন্ন সময় গ্রেফতারের পর খুব সহজেই জামিন পেয়ে যাচ্ছে চোর চক্রের সদস্যরা। পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে আবারও একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এক কথায় তাদের বলা চলে পেশাদার চোর। ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে চুরির অভিজ্ঞতা রয়েছে এসব চোর চক্রের সদস্যদের। ডিএমপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির কর্মকর্তারা বলছেন, একের অধিক মামলা রয়েছে এমন চোরদের সংখ্যা নিরূপণ করে ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। তারা আরও বলেন, একাধিক মামলা থাকার কারণে জামিনে বের হয়ে বিভিন্ন সময় আদালতে হাজিরা শেষে ফেরার সময় কোথাও না কোথাও চুরির ঘটনা ঘটিয়ে চলছে চোর চক্রের সদস্যরা। যারা বিভিন্ন চুরির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হচ্ছে তাদের ডাটাবেজের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, আগে থানাগুলো এ ধরনের চোর চক্রের ডাটাবেজের কাজ করতো। এখন সেন্ট্রালি করা হচ্ছে। ডাটাবেজ হলে, কারা বিভিন্ন ধরনের চুরির সঙ্গে জড়িত সেসব বিষয় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। যেকোনও মামলার অপরাধী শনাক্তে এই ডাটাবেজ ভূমিকা রাখবে। যেকোনও অপরাধ জনিত ঘটনার ক্লু বের করা, এভিডেন্স বের করা, কারা এ ধরনের চুরির সঙ্গে জড়িত এসব বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে থাকে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।