বিশেষ প্রতিবেদন:এখন বাংলাদেশ প্রান্ত সুইচ অন করলেই আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশের সঞ্চালন শুরু করা যাবে। আজ (বৃহস্পতিবার) অথবা দুই একদিনের মধ্যেই এই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট সময় কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্র বলছে, আদানির বিদ্যুৎ সঞ্চালন করার জন্য ভারত এবং বাংলাদেশ প্রান্তে যে গ্রিড লাইন রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ করেছে পিজিসিবি। পিজিসিবি জানায়, পিডিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে লাইনটি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রস্তত রাখতে বলা রয়েছে। সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত থাকার বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবে আদানিকেও জানানো হয়েছে।
পিজিসিবির তথ্য কর্মকর্তা এবিএম বদরুদ্দোজা সুমন বলেন, ‘আমরা আমাদের সিস্টেম রেডি করে ইতোমধ্যে বলে দিয়েছি। এর পরের কাজ পিডিবি এবং আদানি করবে। আমাদের হাতে আর কিছু নেই।’
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কমিশনিং শুরু করেছি। কমিশনিং এর সময় সাধারণত ২০০-২৫০ মেগাওয়াট লাইনে দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এটি আনুষ্ঠানিক নয়। আমরা প্রস্তুত। দুই একদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির অধীনে কয়লা আমদানির মূল্য কমাতে আলোচনার জন্য আদানি পাওয়ার লিমিটেডকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে আদানির একটি দল ঢাকায় এসে একদিনের আলোচনা শেষ করে ভারতে ফিরে যান। তবে দামের বিষয়টি সে সভায় চূড়ান্ত হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রগুলো জানায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের জুনে প্রথম বাংলাদেশ সফর করেন। তখন ভারতের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই হয়। সেই চুক্তির ধারাবাহিকতায় আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।