উৎসবের আগে পণ্যের কেন দাম বাড়ে - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৯:৫৯, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

উৎসবের আগে পণ্যের কেন দাম বাড়ে

newsup
প্রকাশিত মার্চ ২৫, ২০২৩
উৎসবের আগে পণ্যের কেন দাম বাড়ে

বিশেষ প্রতিবেদন:রমজান সামনে রেখে বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে। উদ্বেগ বাড়ছে নিম্নআয়ের মানুষের। রোজার মাস শুরুর আগেই নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে এ দোকান-ও দোকান ঘুরে ঘুরে সাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। তাদের কুঁচকানো ভ্রুতে বরাবরের মতো প্রশ্ন— কেবল আমাদের দেশেই কি উৎসবে পণ্যের দাম বাড়ে? নাকি অন্যদেশেও যার যার উৎসবকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে থাকেন? মাত্র দু’-তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কি এমন হয় যে, পণ্যের দাম বাড়াতে হয়?

রোজায় ইফতারি তৈরিতে সাধারণত ছোলা, ডাল, বেসনের বেশি ব্যবহার হয়। দোকানিরা বলছেন, গত কয়েকদিনে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। এমনকি শরবত তৈরির জন্য যে ট্যাং লাগে, বাজারে সেটার এখন রীতিমতো সংকট। এদিকে বাজারে গত এক মাসে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। মাসখানেক আগে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা দরে, যা এখন ৯৫-১০০ টাকা। ছোলার সঙ্গে ছোলাবুটের দামও বেড়েছে কেজিতে ৫-১০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি ছোলাবুট বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।

বাজার করে আসা অবসর জীবন কাটানো সি আর রহমান বলেন, ‘আমার পরিবারের বাজার নিয়মিত আমি করি। মুদি ও কাঁচাবাজার থেকেই করি। ফলে আমার চোখে ধরা পড়ে। যারা নিয়মিত বাজার করেন না, তারা এই দাম বাড়ানোর বিষয়টি বুঝবেন না হয়তো। কিন্তু রোজার মাসে আমরা সংযম করবো, এই মাসকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা কিছু পণ্যকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যায়। এমনকি উৎসবকে ঘিরে যে কাপড়চোপড় কেনাকাটা— সেখানেও একই জিনিস লক্ষ্য করবেন। কিছু দোকান ছাড় দেয় নানাবিধ, কিন্তু সেগুলো সাধারণের দোকান নয়। অথচ আমার ছেলে আমেরিকায় থাকে। তাদের ওখানে যখন ক্রিসমাস হয়, তখন সেটার কারণে আলাদা করে বাজার অস্থির করার চিন্তা কেউ করে না। বরং বড় বড় ছাড়ের মধ্য দিয়ে উৎসবটা তারা করতে পারে।

গত ক্রিসমাসের সময় ওয়ালমার্ট ইউএসের প্রধান নির্বাহী গ্রেগ ফরানকে প্রশ্ন করা হয়— বিশ্বমন্দায় কেনাবেচার পরিস্থিতি কেমন। তিনি বলেন, ‘পছন্দের পণ্য কিনতে অনেকেই বিক্রয়কেন্দ্রে আসছেন। বড় ছাড় পাওয়ায় সন্তুষ্ট ক্রেতারা।’ আর নিউইয়র্ক প্রবাসী বাঙালিরা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রোজাকে সামনে রেখে তাদের বাঙালি দোকানগুলোতে নানা ছাড় থাকে।

এদিকে, মার্কিন রীতি অনুযায়ী, থ্যাংকস গিভিং ডে’র পর থেকেই শুরু হয় ক্রিসমাস হলিডে সিজন। মানুষ তাদের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের জন্য বড়দিনের উপহার কিনতে শুরু করে। ১৮৬৯ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল। ব্যবসায়ীরা তখন মন্দা থেকে উত্তরণের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ দিনের কথা ভাবছিল, যেদিন বিশাল মূল্য ছাড়ে তারা তাদের পণ্যগুলো বিক্রি করবে। ক্রিসমাসের ছূটি সামনে থাকায় তারা থ্যাংকস গিভিং ডে’র পরের দিনটিকেই এর জন্য বেছে নিয়েছিলেন। এখনও সেই রীতি অব্যাহত আছে। বিশাল ছাড়ে কেনাকাটার উৎসব চলে সেদিন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।