ডেস্ক রিপোর্ট: এমব্রয়ডারি নকশা, ফ্যাশনে নকশার যে ধারাটি কখনো পুরনো হয় না। ঘুরে ফিরে এমব্রয়ডারি সব সময়ই নতুন।
সুঁই-সুতার নকশা পোশাকে নিয়ে আসে এক শৈল্পিক সৌন্দর্য। সুঁইয়ের ফুড়ে রঙ-বেরঙের সুতার নকশা কাপড়ে ফুটিয়ে তোলার ঐতিহ্য হাজার বছরের। সুঁই আর সুতার ছন্দময় গতিতে খুব সাধারণ পোশাকের জমিন অনায়াসেই হয়ে ওঠে অনন্য। সুঁই-সুতার ফোড়ে পোশাকে নকশা করার ইতিহাস অনেক পুরনো।
আধুনিক যুগে সুঁই-সুতার ফোড়ের নকশার এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন, হাতের সুঁইয়ের পাশাপাশি বহুদিন ধরেই নকশা বুনে নেওয়া যাচ্ছে মেশিনেও। যাকে বলা হয় মেশিন এমব্রয়ডারি। নিত্যদিনের ব্যস্ততায় অথবা কোনো দাওয়াতে অনায়াসেই বেছে নিতে পারেন এমব্রয়ডারি নকশার পোশাক।
শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, গাউন, টপস, ফতুয়া, পাঞ্জাবিসহ প্রায় সব ধরনের পোশাকেই রয়েছে এমব্রয়ডারির উজ্জ্বল উপস্থিতি। জর্জেট, শিফন মতো ট্রেন্ডি শাড়ি ছাড়াও বর্তমানে সুতি, টাঙ্গাইল, সিল্ক, মসলিনের মতো ট্রেডিশনাল শাড়িতেও এমব্রয়ডারি নকশা ব্যবহার হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, এ যুগের নারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এমব্রয়ডারি নকশার পোশাক। ফ্যাশনেও এই নকশার বেশ আধিপত্য। এমব্রয়ডারি নকশার মোটিফ হিসেবে বর্তমানে সব থেকে বেশি দেখা যাচ্ছে ফুল এবং জ্যামিতিক নকশা। ছোট-বড় নানা ধরনের ফুলের নকশা দেখা যাচ্ছে পোশাকে। জ্যামিতিক নকশাগুলো যেমন বৃত্ত, বিন্দু, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজের নকশা সাধারণত ব্যবহার করা হয় সরল রেখা ধরে।
এ ধরনের নকশার পরিকল্পনা পোশাকে এক ধরনের শক্ত এবং দৃঢ়তার পরিচয় বহন করে। আবার কখনো যদি একটু এলোমেলো করে করা হয় নকশা, তাতে এক ধরণের উচ্ছলতা চলে আসে পোশাকে। এমব্রয়ডারির সুতার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন রকমের সুতা। সুতার মান এবং কাউন্টে থাকে ভিন্নতা। সাধারণ সুতার চেয়ে জরি এবং রেশমি সুতার ব্যবহারে এমব্রয়ডারি নকশাই নজর কাড়ে বেশি।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।