ডেস্ক রিপোর্ট: ৫৭ বছর বয়সে এসেও এইট প্যাক অ্যাবস, ভাবা যায়? এই অকল্পনীয় ব্যাপারটিকেই বাস্তব করেছেন বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান। নির্মেদ শরীর, টানটান পেশী নিয়ে পাঠান সিনেমায় পর্দায় হাজির হয়েছেন এই অভিনেতা। দুনিয়াজুড়ে ঝড় তোলা পাঠান সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ শাহরুখের নতুন লুক। ৫৭ বছর বয়সে এসেও কীভাবে এমন শরীর গড়ে তুললেন এই অভিনেতা? বিষয়টি নিয়ে শাহরুখের প্রশিক্ষক প্রশান্ত সুভাষ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।
২৩ বছর ধরে শাহরুখের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন প্রশান্ত। তিনি জানান, এর আগে ওম শান্তি ওম এবং হ্যাপি নিউ ইয়ারের জন্য পেশীবহুল হতে হয়েছিল শাহরুখকে। তাই আগে থেকেই অভিজ্ঞতা ছিল। পাঠানের জন্য পেশীবহুল হওয়ার পাশাপাশি শক্তিশালী হওয়ারও প্রয়োজন ছিল। মূল ফোকাস ছিল সেখানেই।
১। ফিটনেস নিয়ে পড়াশোনা
ফিটনেস বাড়াতে প্রচুর গবেষণা করেছেন শাহরুখ। শরীরের যেসব অঙ্গ তুলনামূলক দুর্বল, সেগুলোকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন তিনি। এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন। প্রতিদিন ওয়ার্কআউট করে কতোটুকু উন্নতি হচ্ছে সেটার ছবি পাঠাতেন প্রশিক্ষক প্রশান্তকে।
২। ওয়েট লিফটিং
অ্যাবডমিনাল মাসলস বা অ্যাবস বানাতে দুই বছর টানা পরিশ্রম করেছেন শাহরুখ। এরমধ্যে অন্যতম ছিল ওয়েট লিফটিং। শুরুতে লাগাতার সার্কিট ট্রেনিং এবং কার্ডিয়ো ওয়ার্কআউট করতেন তিনি। পরের দিকে আরও কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
৩। পাতে থাকতো ভাত, ডাল
অল্প ভাত আর ডাল খেয়েছেন শাহরুখ। ডাল খেতে বরাবরই ভালোবাসেন এই অভিনেতা। সকালের নাস্তায় থাকতো সেদ্ধ ডিম। পাশাপাশি কমলার রস। এছাড়া দই ও ফল খেতেন নিয়মিত।
৪। প্রোটিনের উপর দিয়েছেন জোর
শরীরচর্চা, খাদ্যাভ্যাস এবং সাপ্লিমেন্ট- এই তিনের ওপর জোর দিয়েছেন শাহরুখ। পেশির শক্তি বাড়াতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন খেতেন তিনি। মাল্টিভিটামিন এবং প্রোটিন পাউডার রাখতেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।
৫। শরীরচর্চাকে ‘না’ নয়
শরীরচর্চা করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত পেয়েছেন শাহরুখ। তবে কোনও অবস্থায় তিনি শরীরচর্চা বন্ধ রাখেননি। এমনকি শরীরচর্চা করার সময় তিনি গানও শুনতেন না। পুরোপুরি মনোনিবেশ করেছেন শুধু ব্যায়ামের উপরেই। ওয়েট লিফটিংয়ের পাশাপাশি স্কোয়াটস এবং ডেডলিফটসও করেছেন শাহরুখ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।