জাতিসংঘের সামনে দুই দলের সংঘর্ষ: দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় সংযত হতে হবে সবাইকে
মাহফুজ আদনান : বিশ্ব মানচিত্রে যেদিন থেকে বাংলাদেশ নামক একটি দেশের স্থান হয়েছে । সেদিন থেকে আমরা বাঙ্গালীরা একেরপর এক অর্জন ঘরে তুলছি । এর মধ্যে ঘটে যায় নানান ঘটনা রটনা । আমাদের প্রাপ্তির যেমন শেষ নেই । তেমনি অপ্রাপ্তিরও কমতি নেই । অপ্রাপ্তি বা অঘটন বলতে বুঝাতে চাচ্ছি আমাদের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের হারিয়ে যাওয়া দেশ বরেণ্য নেতাদের অকালে ঝরে যাওয়া । যে কারণে আমাদের নতুন একটি স্বাধীন দেশ যেমন মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠতে উঠতেই একেরপর এক রাজনৈতিক হত্যাকানড । বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম ঘটনা ঘটেছে । কিন্তু, তৃতীয় বিশ্বের একটি নবীন দেশ । যে দেশ মাত্র স্বাধীনতা পেয়ে বিশ্ব মোড়লদের কাছে নিজেদের অবসথান তৈরি করছিল ঠিক তখনি রক্তচোষাদের চোখ গিয়ে পড়ে দেশের এই সব সম্পদের দিকে । যাঁদের কথা বলছি তাদের নাম তো সবাই জানেন। আমি সেই ইতিহাসে যাচ্ছি না আমি বর্তমান একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল সময়ে । গত কয়েক দশকের মধ্যে বর্তমান সময়ে যেভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম বিশ্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে । ঠিক তখনি এই উন্নত জাতি গঠনের সময় অনেকেই মেতে উঠেছেন দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে ধাবিত করতে । দেশের মিডিয়া ও সকল ক্ষেত্রে যখন একটা ভারসাম্য এসেছে ।
একেরপরএক উন্নয়নে বিশ্ব মহল আজ অভিভুত । এবার আসি যে কারণে আজকের এই লেখনী আমি একজন মিডিয়াকরমী সমাজকরমী হিসেবে গত কদিন আগে এবং প্রায় প্রতি সময় জাতিসংঘ অধিবেশনে খেয়াল করি আমাদের প্রবাসের রাজনীতিবিদরা দেশের প্রধান জাতিসংঘ অধিবেশনে আসা উপলক্ষে প্রতিবাদ করেন ।
এটা কেমন জানি অনেক প্রবাসী মেনে নিতে পারেন না । এর কোন মানে দেখেন না । একটা দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের উননত রাষট্র গঠনে । কিন্তু বিশ্বের রাজধানী নিউইয়রকে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রতিবাদ প্রবাসীরা গ্রহণ করতে পারছেন না ।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রতিবছরের এরকম প্রতিবাদ হট্রগোল কারোর ই ভালো লাগে না । একজন প্রবাসী হিসেবে সকলের মনে এ বিষয়টি উদ্বেগের । এর আগেও প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক সফরে গেছেন। তিনি সেখানে বিভিন্ন প্রগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন। আমেরিকা যাবার আগে তিনি লন্ডনে গেছেন।সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করেছিল পুলিশ। জাতিসংঘের অধিবেশনে শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রের সরকার এবং নাগরিক সমাজ, সাংবাদিকসহ নানা পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সেখানে বিষয়গুলো তারা স্বচক্ষে দেখেন। এসব কাণ্ড
থেকে তারা বুঝতে পারেবন বাংলাদেশের কী হাল হকিকত চলছে। তাই বিদেশে বিশেষ করে জাতিসংঘসহ বিশ্বের যে সব দেশগুলোতে প্রধানমন্ত্রী যাবেন বা আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানগুলোতে প্রবাসী সরকারি দল এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কর্মসূচির চিন্তা আনতে হবে। মনে রাখতে হবে সবার আগে দেশ, সবার আগে দেশের মান-মর্যাদা। দিন শেষ সবাই আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। কারণ বাংলাদেশর মর্যাদায় আঘাত আসলে আমাদের শুধু দেশ নয় ব্যক্তির মর্যাদায় আঘাত আসবে। জয়তু বাংলাদেশ।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, বাংলানিউজইউএসডটকম ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।