নিউজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনকে নরকে পরিণত করা ইসরায়েল যমের মতো ভয় পায় মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তির দেশ ইরানকে। বিশেষ করে সামরিক শক্তিতে তেহরানের উত্থানেই বুকে কাঁপন ধরেছে নেতানিয়াহু প্রশাসনের। এর মধ্যে ইসরায়েলকে শায়েস্তা করতে তাদের বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধফ্রন্ট খোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান।
দেশটির অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা এবং সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা আইআরজিসি’র সাবেক প্রধান মোহসিন রেজায়ি রোববার এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। বলেন, ‘জায়নবাদবিরোধী নতুন এই যুদ্ধফ্রন্ট গড়ে তোলার ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন। সামনের দিনের যুদ্ধে সেই ফ্রন্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি মনে করেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান এই যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে। ইসরায়েল চোরাবালিতে আটকা পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজায় তারা যত অগ্রসর হবে—ততই ডুববে। এমনকি এই যুদ্ধ ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের মাধ্যমে শেষ হবে বলে জানান।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে তেলআবিবকে সরাসরি সমর্থন করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সব ধরনের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। আর ফিলিস্তিনি তথা হামাসকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে ইরান। এমন অভিযোগ পশ্চিমাদের। বলা হয়, অঞ্চলটিতে যত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আছে সবাইকে মদদ দিচ্ছে ইরান। তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র।
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা করে বসে হামাস। এমনকি ইসরায়েলে ঢুকে পর্যন্ত হামলা চালায় তাদের সদস্যরা। জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় প্রায় আড়াইশ মানুষকে। এর জেরে আকাশ ও স্থলপথে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ৭ অক্টোবর থেকে চলছে টানা অভিযান। এতে রীতিমতো নরকে পরিণত হয়েছে গোটা গাজা উপত্যকা। নির্বিচারে হামলা চালানো হচ্ছে হাসপাতালেও।
এর আগে ইসরায়েলকে দমনে সৌদি আরবে বৈঠকে বসে মুসলিম বিশ্বের ৫৭ রাষ্ট্রনেতা। সেখানে তেলআবিবের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এখনো। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সোচ্চার তুরস্ক এবং ইরান।
আঙ্কারা বলছে, অবিলম্বে ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, না হলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া কোনোভাবেই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব না।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।