যক্ষ্মা রোগ যেভাবে ছড়ায়
১১ জুন ২০২৪, ১২:১৩ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট: যক্ষ্মা বা টিবি রোগটি হয়ে থাকে মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে। সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যক্ষ্মা রোগের প্রকোপ বেশি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও যক্ষ্মা অনেকটা বেশি। ৪৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এ রোগ বেশি হয়ে থাকে। তবে কম বয়সেও যক্ষ্মা হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগী, এলকোহল আসক্ত ও রোগপ্রতিরোধ-ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রোগী যাদের এইচআইভি সংক্রমণ রয়েছে, তাদের টিবি বা যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। যক্ষ্মা সংক্রমিত ব্যক্তির থুথু, কফ ইত্যাদির মাধ্যমে আশপাশে ছড়ায়। টিবি রোগের লক্ষ:
* অনেক দিন ধরে কাশি ভালো না হওয়া।
* কফের সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
* হঠাৎ করে শরীরের ওজন কমে যাওয়া।
* রাতে শরীরে ঘাম হওয়া ও জ্বর আসা। এমনকি ঘুমের মধ্যেও শরীরে ঘাম হতে পারে।
যক্ষ্মা রোগীদের দাঁতের চিকিৎসা করার সময় অনেক সময় রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ানের শরীরে জীবাণু বিস্তার লাভ করতে পারে। বিশেষ করে, যদি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল থাকে, তাহলে এ ধরনের আশঙ্কা থেকেই যায়। পালমোনারি টিউবারকিউলোসিস বা ফুসফুসের যক্ষ্মায় মুখে সংক্রমণ দেখা যেতে পারে। এইচআইভি আক্রান্ত রোগী, যাদের যক্ষ্মা হয়, তাদের ক্ষেত্রেও মুখে সংক্রমণের সৃষ্টি হয়ে থাকে। মুখে, বিশেষ করে জিহ্বার উপরিভাগে দীর্ঘমেয়াদি ঘা দেখা দিতে পারে। যক্ষ্মার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রিফ্যামপিছিন সেবনের কারণে রোগীর থুথু লাল রঙের হতে পারে আর রোগীর প্রস্রাবের রঙ কমলা হতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। ওষুধের কারণে সাধারণত এমনটি হয়ে থাকে। পালমোনারি টিবারকিউলোসিস রোগীর ক্ষেত্রে যক্ষার চিকিৎসা শেষ করার পরই দাঁতের চিকিৎসা করা উচিত। যদি সম্ভব না হয় তাহলে চিকিৎসক ও সহকারীদের মাস্ক পরে বিশেষ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতে হবে। দাঁতের চিকিৎসা করার সময় রাবার ড্যাম ব্যবহার করতে হবে। তা ছাড়া রোগীর শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে জীবাণু যাতে বিস্তার লাভ করতে না পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ, ফুসফুসের যক্ষ্মা রোগের সংক্রমণক্ষমতা অনেক বেশি। যক্ষ্মা রোগীর দাঁতের চিকিৎসায় সম্ভব হলে জেনারেল অ্যানসথেসিয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত, যেহেতু এ সময় রোগীর ফুসফুসের কার্য ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে না।
সুত্র:এফএনএস ডটকম