ডেস্ক রিপোর্ট:
হজ ইসলামের ৫ম রোকন বা স্তম্ভ। হজ অর্থ সংকল্প করা বা ইচ্ছা করা। হজ মুসলমানদের মধ্যে শুধু ধনীদের ওপর জীবনে একবার ফরজ। অর্থাৎ কেবল যাদের সামর্থ্য আছে তাদের জন্য এ আদেশ। হজ হলো পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থিত কাবা ঘর তাওয়াফ করা ও আনুষঙ্গিক কার্য সম্পাদন করা। আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেন:-এবং মানুষের নিকট ঘোষণা করিয়া দাও, উহারা তোমার নিকট আসিবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উটগুলোর পিঠে, ইহারা আসিবে দূরদূরান্ত পথ অতিক্রম করিয়া (সূরা হজ-২৭)। অতঃপর তাহারা যেন তাহাদিগের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে এবং তাহাদিগের মানত পূর্ণ করে এবং তাওয়াফ করে প্রাচীন গৃহের (সূরা হজ-২৯)।
এখানে প্রাচীন গৃহ বলতে পবিত্র কাবা ঘরকেই বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ আদম (আ.)কে দুনিয়াতে পাঠানোর পর তিনি আল্লাহর নিকট ইবাদতের জন্য একটি স্থান ও গৃহের আবেদন করলে আল্লাহ জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে ওই স্থান নির্ধারণ করে একটি গৃহ নির্মাণের আদেশ দেন। আর ইহাই পৃথিবীর সর্বপ্রথম ও প্রাচীন গৃহ নামে খ্যাত। প্রমাণ স্বরূপ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন:-নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম যে ঘর মানুষের জন্য স্থাপিত হইয়াছিল, তা তো সেই ঘর যাহা মক্কায় অবস্থিত যা বরকতময় এবং বিশ্ববাসীর জন্য হেদায়াত। এতে রয়েছে অনেক প্রকাশ্য নিদর্শন। মাকামে ইবরাহিম তার অন্যতম। যে কেউ এ ঘরে প্রবেশ করে সে নিরাপদ হয়ে যায়। আল্লাহর জন্য উক্ত ঘরের হজ করা লোকদের ওপর ফরজ। যার সে পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য আছে এবং যে ব্যক্তি অস্বীকার করবে সে জেনে রাখুক নিঃসন্দেহে আল্লাহ দুনিয়ার কাহার মুখাপেক্ষী নহেন (সূরা আলে-এমরান-৯৭,৯৮)।
হাদিসে রাসূল (সা.) থেকে জানা যায়-হজরত আবু হোরায়রা (রা.) হইতে বর্ণিত যে, রাসূল (সা.)কে জিজ্ঞেস করা হলো, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ইমান আনা। জিজ্ঞেস করা হলো তারপর কোনটি? তিনি বললেন আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞেস করা হলো তারপর কোনটি? তিনি বললেন হজ-ই মাবরুর (মকবুল হজ) করা (বোখারি-১৪২৯)। উম্মুল মোমিনীন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.) জেহাদকে আমরা সর্বোত্তম মনে করি, কাজেই আমরা কি জিহাদ করব না? রাসূলূল্লাহ (সা.) বললেন না, তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আমল হলো ‘হজে মাবরুর’ (বোখারি-১৪৩০)।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।