ডেস্ক রিপোর্ট:
মাসের নির্দিষ্ট কয়েকটা দিন নারীদের খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়। কেননা ওই সময়গুলোতে তারা পিরিয়ডের কষ্টে ভোগেন। তবে যাদের পিরিয়ডের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে কষ্টটা একটু বেশিও পোহাতে হয়। যেমন পেটে ব্যথাসহ অনেক সময়ে এসব নারীদের পেটে জ্বালাও হয়। হরমোনের তারতম্যের কারণে আবার অনেক সময় মুড সুইং হতে থাকে অর্থাৎ মেজাজ ঘন ঘন পরিবর্তন হতে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে হরমোনের তারতম্যের কারণেই এমন সমস্যার মুখোমুখি হন নারীরা।
তবে এই পিরিয়ড হওয়ার সময় মেজাজ পরিবর্তন বা মুড সুইং কমানো সম্ভব। কয়েকটি বিষয় মেনে চললেই এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নিই এমন কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে।
অ্যালকোহল
এই সময়ে অ্যালকোহল খাবেন না। এতে আপনার মেজাজের পরিবর্তন হবে। নিজেকে শান্ত রাখতে পারবেন না। শরীর প্রচণ্ড খারাপ লাগবে। এমনকি মানসিক চাপও বাড়তে থাকে। তাই আগেই সাবধান হোন আপনি।
চিনি জাতীয় খাবার
পিরিয়ডের সময় চিনি খাওয়া কমিয়ে দিন, চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে আপনার শক্তি শরীরে কমতে থাকবে। মিষ্টির পরিবর্তে সুষম খাবার খান। এতে আপনার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়বে। পেটে ব্যথা থাকলে তা থেকেও মুক্তি পাবেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
এই পিরিয়ডের সময় আপনাকে ভালোভাবে ঘুমাতে হবে অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতে হবে। যা হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ও মেজাজ পরিবর্তনের ওপর বিশেষ প্রভাব ফেলে। এই সময়ে আপনার ঘুম যাতে ভালো হয় সেদিকে নজর রাখুন। না হলে শরীর কিন্তু খুব ক্লান্ত লাগবে।
ব্যায়াম করুন
পিরিয়ডের সময় নিয়মিত ব্যায়াম করুন অর্থাৎ এতে আপনার এন্ডোরফিন শরীর থেকে নিঃসৃত হবে। এই হরমোন শরীর থেকে নিঃসৃত হলে আপনার মেজাজ খুব ভালো থাকবে। মানসিক চাপ কমবে। যদি ব্যায়াম করতে না পারেন অন্তত হাঁটবেন।
ডায়রিতে পরের দিনের রুটিন লিখুন
যখন আপনার পিরিয়ডের সময় প্রচণ্ড কষ্ট হবে, মানসিক চাপ বাড়তে থাকবে। সে সময় চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন আনুন। পরের দিন কোনো কাজ করবেন সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে রাখুন। এতে দেখবেন আপনার মানসিক চাপ আগের থেকে অনেকটাই কমবে। আপনার পেটে যে ব্যথা হচ্ছে তা আপনি ভুলে থাকতে পারবেন।
টিভি দেখুন
এই সময়ে মেজাজ ঠিক রাখতে টিভি দেখুন, বাড়ির লোকেদের সঙ্গে গল্প করুন। এতে মানসিক চাপ কমবে। শরীর সুস্থ থাকবে। মন থেকে খারাপ চিন্তা দূরে রাখুন। ভারী কাজ করা এই সময়ে এড়িয়ে চলুন।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।