পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রত্যাহার করল ভারত, কমছে আমদানি ব্যয় - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ২:২৮, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রত্যাহার করল ভারত, কমছে আমদানি ব্যয়

banglanewsus.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রত্যাহার করল ভারত, কমছে আমদানি ব্যয়

অনলাইন ডেস্ক:

টনপ্রতি ৫৫০ ডলারে বেঁধে দেওয়া পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রত্যাহার করেছে ভারত সরকার। এর ফলে প্রতিবেশী দেশটি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি আমদানিতে ব্যয় কমছে। এর প্রভাবে স্বভাবত বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার কথা।

গতকাল শুক্রবার পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রত্যাহার করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত সরকার পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রত্যাহার করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এবং শিগগিরই এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হবে। বিষয়টি ভারত থেকে যেসব দেশ পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে, তাদের অনেকটাই সুবিধা দেবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্যও বিষয়টি ইতিবাচক হতে পারে।

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোটের রাজনীতির অংশ হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু সে সময় সরকার পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেয়, যার পরিমাণ ছিল প্রতি টনে ৫৫০ ডলার।

ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারকেরা জানিয়েছেন, জুন মাসে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে বলে অনুমান করা হয়েছে। কারণ প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম ৫৫০ ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক মিলে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারের অন্যান্য দেশের পেঁয়াজের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, ভারত সরকারের হিসাব অনুসারে চলতি অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেশটি মোট ২ দশমিক ৬০ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে। অথচ, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ভারত ১৭ দশমিক ১৭ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।