সম্পাদকীয়:
সারা দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ১৭টি ধারা প্রয়োগের ক্ষমতা পেয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা। সিআরপিসির বিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। অর্থাৎ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি, অপরাধীকে গ্রেফতার, জামিন-মুচলেকা ইত্যাদি বিষয়ে আইন মোতাবেক আদেশ জারি, তল্লাশি অভিযান পরিচালনা বা আটক করা, অন্যায়ভাবে আটককৃতকে উদ্ধারে অভিযানের মতো কার্যক্রম সেনাবাহিনী পরিচালনা করতে পারবে। ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের জন্য এ ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারা দেশে প্রয়োগ করতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এর ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তারা অপরাধীকে গ্রেফতার করতে বা গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন।
এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বর্তমানে কিছু কিছু অঞ্চলে, বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলগুলোতে নাশকতা, অরাজকতা এবং দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার মতো কিছু কর্মকাণ্ড ঘটছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতির উন্নতির জন্য।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।