কানাডা অফিস:
কানাডায় ২০২৫ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নেতৃত্বাধীন উদারপন্থী সরকার পিছিয়ে রয়েছে। যে কারণে বিদেশি ভ্রমণকারী, অস্থায়ী বাসিন্দা ছাড়াও স্থায়ী অভিবাসীদের সংখ্যা হ্রাসের চেষ্টা করছে ট্রুডোর সরকার। দেশটিতে বর্তমানে আবাসন সংকট ও বাসা ভাড়া বৃদ্ধির জন্য নতুন আসা অভিবাসীই মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
রয়টার্স সূত্রে জানা গেছে, ভিসা ইস্যু হ্রাস, বৈধ নথি নিয়ে সীমান্তে পৌঁছানোদের বেশি সংখ্যায় ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিদেশি পর্যটক ও অস্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য দেশে প্রবেশের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে কানাডা সরকার। দেশটির অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার লক্ষ্যে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
অতীতে নতুন করে আসা অভিবাসীদের সাদরে গ্রহণ করার রেকর্ড রয়েছে কানাডীয়দের। তবে সাম্প্রতিক এক জরিপে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক কানাডীয় বলেছেন, দেশটি অনেক বেশি অভিবাসীকে গ্রহণ করেছে। পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, এই অবস্থান সীমান্ত ও অভিবাসন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে ভূমিকা রাখছে।
গত জুলাইয়ে কানাডা ৫ হাজার ৮৫৩ জন ভ্রমণকারীকে দেশটিতে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। তাদের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী, কর্মী ও পর্যটকও ছিলেন। দেশটিতে এক মাসে এতসংখ্যক মানুষকে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ঘটনা ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। নথিতে দেখা যায়, দেশটির সীমান্ত কর্মকর্তারা চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে গড়ে ৩ হাজার ৭২৭ জন করে বিদেশি ভ্রমণকারীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন; যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বা ৬৩৩ জন বেশি।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।