হিমু আহমেদ:
গতকাল ১৬ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার সন্ধ্যে ৬টায় কল্যাণব্রতের কবি আফজাল চৌধুরীকে নিবেদিত কেমুসাস সাহিত্য সম্মেলন ২০২৪ ও দশম-পঞ্চদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান কেমুসাস’র শহীদ সোলেমান হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে চতুর্দশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন সব্যসাচী লেখক মীর লিয়াকত আলী। দেশের ৮৯ বছরের প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ অর্থাৎ কেমুসাস প্রবর্তিত কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কারের জন্যে ৬ বিশিষ্ট লেখককে মনোনীত করা হয়েছিল।
তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।কেমুসাস সাহিত্য সম্মেলন ২০২৪ ও দশম-পঞ্চদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মানারাত ইন্টা. ইউনিভার্সিটি ঢাকার ভাইস চ্যান্সেলার ড. আব্দুর রব। অনুষ্ঠানটিকে সভাপতিত্ব করেছেন দৈনিক মিরর পত্রিকার সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আহমেদ নুর। অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা হচ্ছেন রাগিব হোসেন চৌধুরী (দশম কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯), আবদুল হামিদ মানিক (একাদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২০), আমেনা আফতাব (দ্বাদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২২), মুকুল চৌধুরী (ত্রয়োদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২১), এবং শাকুর মজিদ (পঞ্চদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪)।
মুসলিম সাহিত্য সংসদ ২০০১ সাল থেকে কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করে আসছে। ২০০১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার কথাশিল্পী অধ্যাপক শাহেদ আলীকে প্রদান করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০২ সালে সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল ইসলাম, ২০০৪ সালে গবেষক অধ্যাপক আসাদ্দার আলী, ২০০৬ সালে গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল, ২০০৮ সালে গবেষক ড. গোলাম কাদির, ২০০৯ সালে গবেষক দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ২০১০ সালে শিক্ষাবিদ-গবেষক প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ, ২০১৩ সালে সাংবাদিক-বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরী, ২০১৬ সালে কবি মোফাজ্জল করিম এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে কবি নৃপেন্দ্র লাল দাসকে কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে ২০২৪ পর্যন্ত কাউকে উক্ত পুরস্কার প্রদান করা হয়নি। পুরস্কার প্রদানের ধারাবাহিকতায় ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৬ জন লেখককে সার্বিক সাহিত্যকর্ম বিবেচনা করে কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে
সব্যসাচী লেখক মীর লিয়াকত আলী কেমুসাসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ নুরুল হক এর খুব প্রিয়ভাজন ছিলেন। সত্তরের দশকে কেমুসাসে তাঁর যাতায়াত ছিলো বেশি। সে সময় মুহম্মদ নুরুল হক সম্পাদিত ঐতিহ্যবাহী ‘আল ইসলাহ’তে মীর লিয়াকত আলীর বেশ কয়েকটি সনেট প্রকাশিত হয়েছিল। এই সনেটগুলো নিয়ে তাঁর ‘সনেট অঞ্জলি’ গ্রন্থটি পরবর্তীকালে বাংলা একাডেমী বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া মুহম্মদ নুরুল হককে নিয়ে তাঁর আবেগপূর্ণ একাধিক লেখা সে সময় দৈনিক আজাদ ও যুগভেরীতে প্রকাশিত হয়েছিল।
সব্যসাচী লেখক মীর লিয়াকত আলী তাঁর সুদীর্ঘ সাহিত্যজীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ জীবনের শেষপ্রান্তে এসে এ পুরস্কার অর্জন করায় সাহিত্যবোদ্ধামহল অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলা একাডেমির ফেলো প্রাবন্ধিক আহমদ সিরাজ, দৈনিক আলোর জগত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক তুহিন ভূইয়া, বিলেতপ্রবাসী জনপ্রিয় ছড়াকার রব্বানী চৌধুরী, বিলেতপ্রবাসী কবি ও স্বচিন্তা সম্পাদক সৈয়দ মাসুম, সাংবাদিক ও কবি এসএমএ মোহিন, কবি, সঙ্গীতশিল্পী এবং সম্পাদক সাইফুল খান, কবি ফারহানা মাহমুদ তান্নিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কেমুসাসের এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং মীর লিয়াকত আলীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।