অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকার আগারগাঁও, মহাখালী, গাবতলী, মোহাম্মদপুর এবং ডেমরা এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকেরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করছেন। তাদের এই আন্দোলনের ফলে এসব এলাকার প্রধান সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থী, অফিসগামী মানুষসহ সব ধরনের যাত্রীরা এতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।
সকাল থেকেই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত এবং পুলিশের নিয়মিত ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে চালকেরা এই বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের দাবি, এই সিদ্ধান্ত তাদের রোজগারে সরাসরি প্রভাব ফেলছে এবং তারা আর্থিক অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
ট্রাফিক-গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে এক হাজারের মতো চালক একত্রিত হয়ে মহাখালী সড়কে অবস্থান নেন। তবে বিক্ষোভকারীদের কেউই রিকশা নিয়ে আসেননি, তারা পায়ে হেঁটেই অবস্থান করছেন। বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছেন। তবে সড়ক অবরোধের কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছে।
ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৯ নভেম্বর এই নির্দেশের পর এর প্রতিবাদে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী দয়াগঞ্জে বিক্ষোভ করছেন অটোরিকশা চালকেরা। তাদের ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নেয় পুলিশ।
এর প্রতিবাদে গতকাল বুধবারও বিক্ষোভ সমাবেশ হয় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে। ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনের চৌরাস্তায় অবস্থান নেন বিক্ষোভকারী চালকেরা। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে শতাধিক রিকশার একটি মিছিল চলে আসে মিরপুর রোডের প্রধান সড়কে। আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন ঘুরে রিকশার এই মিছিলটি চলে যায় শ্যামলী পর্যন্ত।
বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ রিকশা চলাচল করছে রাজধানীতে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত। পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে। রাজধানীর মূল সড়কের চেয়ে অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বেশি। সুযোগ পেলে মূল সড়কও দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিকশা।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।