বাজারে জোরালো অভিযান পরিচালনা করতে হবে

Daily Ajker Sylhet

editorbd

০৬ ফেব্রু ২০২৫, ০২:৩১ অপরাহ্ণ


বাজারে জোরালো অভিযান পরিচালনা করতে হবে

সম্পাদকীয়:

গত কয়েক বছরের মতো এবারও রমজানের আগে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে লিটারে তেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা কার্যকর না হওয়ায় তেল কোম্পানিগুলো জোটবদ্ধ হয়ে একই সময় তেল সরবরাহ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে খুচরা বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। এই সুযোগে খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা চড়া দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করছে। গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে, ভোজ্যতেল নিয়ে কিছুদিন পরপর নানা কারসাজি চলে, যা রমজান মাস শুরুর আগে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। প্রশ্ন হলো, এ কারসাজি কি চলতেই থাকবে?
অতীতে অবৈধভাবে ভোজ্যতেল মজুত করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা সত্ত্বেও বারবার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। এতেই স্পষ্ট, যারা কারসাজি করে, তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অব্যাহত মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তাদের যখন দম বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তখন কিছুদিন পরপর ভোজ্যতেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে ভোক্তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কথামতো দুই ধাপে শুল্ক কমানো হলেও ভোজ্যতেলের দাম কেন ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

রমজানে কিছু পণ্যের চাহিদা বাড়ে, এটা অস্বাভাবিক নয়। সেজন্য আমদানিতে ছাড় দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও পণ্যের দাম ইচ্ছামতো বাড়ানো হয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজান শুরুর কয়েক মাস আগে থেকেই ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনি ইত্যাদি পণ্যের দাম বাড়ানো শুরু করে। অতীতে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে কর্তৃপক্ষ নানা আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বস্তুত এ সমস্যাগুলো চিহ্নিত, কী করণীয় তাও বহুল আলোচিত। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যাতে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য কর্তৃপক্ষকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। কর্তৃপক্ষ বাজারে অভিযান পরিচালনা করলেও ভোক্তা এর সুফল পান না। কাজেই আগে শর্ষের ভেতরের ভূত তাড়াতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।