স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে জায়গা নিশ্চিত করে রাখে বাংলাদেশ। লক্ষ্য পূরণ করে ফেলায় শেষ ম্যাচে ছিল না কোনো চাপ। তবে আনন্দকে দমিয়ে রেখে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ঠিকই মনযোগী ফুটবল খেলছে পিটার বাটলারের দল। একের পর এক গোলে ভাসাচ্ছে প্রতিপক্ষকে।
মিয়ানমারের থুউনা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ শেষে ৭-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বিরতির পর আর তিনটি গোল করলেই গড়বে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। কক্সবাজারে ২০১০ সালে ভুটানকে হারিয়েছিল ৯-০ গোলে। এটাই এখন বাংলাদেশ নারী দলের সবচেয়ে বড় জয়।
তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে আজ ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শামসুন্নাহার জুনিয়রের কাটব্যাক থেকে বল পেয়ে স্বপ্না রানির কাছে পাস দেন তহুরা খাতুন। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে জাল কাপান স্বপ্না।
ষষ্ঠ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। মনিকা চাকমার ক্রসে আফঈদা খন্দকারের হেড রুখে দেন তুর্কমেনিস্তান গোলরক্ষক আমানবেরদিয়েভা আয়শা। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি শটে জালের দেখা পান শামসুন্নাহার জুনিয়র। ১৩ মিনিটে দ্বিতীয়বার গোলের খাতায় নাম লেখান এই ফরোয়ার্ড। এবার বাঁ প্রান্ত থেকে তাঁকে বলের জোগান দেন শামসুন্নাহার সিনিয়র।
১৬ মিনিটে তহুরা কাছ থেকে তুর্কমেনিস্তানের কুরবানোভা পেরভানা বল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো মনিকার কাছে বল ঠেলে দেন তিনি। বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করতে কোনো ভুল করেননি মনিকা। ১৭ মিনিটে বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে নেওয়া ঋতুপর্ণা চাকমার শট তুর্কমেনিস্তান গোলরক্ষকের হাত ফসকে চলে যায় জালে। যা গোলপোস্টে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করে তুর্কমেনিস্তান কোচ বরিস বোরোভিককে। আয়শাকে উঠিয়ে এলনুরা মাকসিউতোভাকে মাঠে নামান তিনি। তাতে অবশ্য খুব একটা লাভ হয়নি। ২১ মিনিটে ঋতুপর্ণার ক্রস থেকে বাংলাদেশের ষষ্ঠ গোলটি করেন তহুরা।
সপ্তম গোলের জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হয় ২০ মিনিটের মতো। ৪১ মিনিটে কর্নার থেকে মনিকা বল দেন ঋতুপর্ণার কাছে। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে নিশানা খুঁজে নেন ঋতুপর্ণা।
ডেস্ক: আর
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।