লন্ডন অফিস: ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছার জন্য উত্তর ফ্রান্সের উপকূল থেকে গ্যাস দিয়ে ফোলানো নৌকায় ওঠার জন্য যাচ্ছেন কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশী। ফ্রান্সের ক্যালাইসের পেতি-ফোর্ট-ফিলিপে, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছার জন্য উত্তর ফ্রান্সের উপকূল থেকে গ্যাস দিয়ে ফোলানো নৌকায় ওঠার জন্য যাচ্ছেন কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশী। ফ্রান্সের ক্যালাইসের পেতি-ফোর্ট-ফিলিপে, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ছবি: রয়টার্স যুক্তরাজ্যে আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) ও অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, যা অনেকটা ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্কের অভিবাসন নীতর মতো। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ নিয়ে কাজ করছে। নতুন নীতির কারণে আশ্রয়প্রার্থীরা নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
নতুন নীতির প্রধান উদ্দেশ্য—ছোট ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো, হোটেলে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য সরকারের যে ব্যয় হয়, তা কমানো এবং কমসংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে স্থায়ী বসতির অনুমতি দেওয়া। আগামীকাল সোমবার যুক্তরাজ্যের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ নতুন অভিবাসন নীতি হাউস অব কমন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। যুক্তরাজ্যে গত দুই বছরে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদনের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত আগের এক বছরে দেশটিতে ১ লাখ ১১ হাজার ৮৪ জন আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করেছেন। আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্ষমতাসীন লেবার সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। সরকার জানিয়েছে, তারা যুক্তরাজ্যকে আশ্রয়প্রার্থীদের ‘সহজ গন্তব্যে’ পরিণত করতে চায় না।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।