ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন : পাঁচ প্রার্থীর তিনজনই কোটিপতি - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৭:৪৫, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন : পাঁচ প্রার্থীর তিনজনই কোটিপতি

প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯
ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন : পাঁচ প্রার্থীর তিনজনই কোটিপতি

 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে বৈধ পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে তিনজনই কোটিপতি। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মো. আতিকুল ইসলাম, এনডিএমের ববি হাজ্জাজ ও স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আব্দুর রহিম ব্যবসায়ী এবং কোটিপতি হিসেবেই পরিচিত। তবে কোটিপতি হলেও আতিকুলের নিজের গাড়ি নেই। আর নিজের বাড়ি নেই ববি হাজ্জাজের। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন হবে। ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন জাতীয় পার্টি-জাপার প্রার্থী শাফিন আহমেদ। তবে তিনি গতকাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করেছেন।

হলফনামা থেকে জানা গেছে, আতিকুল ১৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তার বার্ষিক আয় কোটি টাকার বেশি। এরমধ্যে কৃষিখাতে সাড়ে ৩ লাখ টাকা, ভাড়া বাবদ সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা; ব্যবসা থেকে সাড়ে ৫১ লাখ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় প্রায় ১৮ লাখ টাকা। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ কোটি সাড়ে ১০ লাখ টাকা। তার রয়েছে বন্ড, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ৩ কোটি ৭৫ লাখ ২৪ হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে রয়েছে নগদ ২ কোটি ৫৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৬৪ টাকা। আতিকুলের নিজের নামে এক হাজার ৭৪.০৩৫ শতাংশ কৃষি জমি এবং ৩৫ শতাংশ অকৃষি জমি রয়েছে। তার ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩৩ টাকার বাড়ি ও ২ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার অ্যাপার্টমেন্ট এবং স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ টাকার (বায়নাকৃত) বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। তার ১ কোটি ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার গৃহঋণও রয়েছে।

ববি হাজ্জাজ: জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মেয়র প্রার্থী ববি হাজ্জাজ ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের ছেলে। তার পেশা শিক্ষকতা (নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি) ও ব্যবসা (পরিচালক, ডেকোটা প্রাইভেট লি.)। তার বিভিন্ন কোম্পানির ৫০০টি শেয়ার রয়েছে। স্ত্রীর আয় ৩ লাখ টাকা। তার নিজের নামে নগদ টাকা ৫৪ লাখ ১০ হাজার ৮৬ টাকা রয়েছে। তিনি ৫০ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছেন।

আব্দুর রহিম: স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আব্দুর রহিম হলফনামায় অষ্টম শ্রেণি পাস উল্লেখ করেছেন। তার নামে বর্তমানে ৮টি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। নর্থ সাউথ প্রপার্টি ডেভেলমেন্ট লিমিটেডের এই চেয়ারম্যান ব্যবসা থেকে বছরে আয় করেন ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৭ টাকা। তার ওপর খাতে আয় ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪২ টাকা। স্ত্রীর কাছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৮ টাকা রয়েছে। আব্দুর রহিমের ১৯ লাখ টাকা মূল্যের দুটি গাড়ি রয়েছে। রয়েছে পৈত্রিক সূত্রে ৭৬.২৫ এবং নিজের কেনা ১২.২৫ শতাংশ। আর স্ত্রীর নামে কলমা করা রয়েছে ৫২ শতাংশ জমি। আব্দুর রহিম ব্যবসার বিপরীতে স্ত্রীর নামে ব্যাংক লোন নিয়েছেন ৫৯ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৩ টাকা এবং ভাড়ার বিপরীতে নিয়েছেন ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

অপর দুই প্রার্থী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনিসুর রহমান দেওয়ান হলফনামায় পেশা রাজনীতি ও সমাজসেবা উল্লেখ করেছেন। একমাত্র আয়ের উত্স শিক্ষকতা থেকে বছরে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর পিডিপি নেতা শাহীন খান স্বশিক্ষিত। তার আয়ের কোনো উত্স নেই। তবে, নিজের নগদ আড়াই লাখ টাকা আছে। ##

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।