জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে শ্রদ্ধা জানান তারা। এ সময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাদের সালাম জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এরপর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ১৫ আগস্টের নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনও সেখানে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেয়া হয়। বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হাজারো মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ককের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
ধানমণ্ডি থেকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা যান বনানী কবরস্থানে। সেখানে জাতির পিতার পরিবারের সদস্য ও অন্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। পরে সেখানে মোনাজাত ও মিলাদে অংশ নেন। এরপর টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন শেখ হাসিনা।
বিকেলে বঙ্গবন্ধু ভবনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনের দোয়া মাহফিলে রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থাকবেন।
ইতিহাসের ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকান্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূর শোকের দিন আজ। সারা দেশে দিনটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্র বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনেই হত্যাকান্ডের শিকার হন মহান এই নেতা।
আজ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী পালনের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।