যশোরে মাস্কের সংকট : ২৫ টাকার মাস্ক ৮০ টাকা বিক্রি
০৯ মার্চ ২০২০, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

বেনাপোল (যশোর):
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে যশোরে মাস্কের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বেড়ে গেছে বিক্রিও। আর এ সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ফার্মেসিগুলো। কয়েকদিন আগেও বিভিন্নস্থানে হকাররা মাস্ক বিক্রি করেছে। কিন্তু এখন খুব কমই দেখা যাচ্ছে। যে গুটিকয়েক হকার বিক্রি করছে তারাও দ্বিগুন দামেই বিক্রি করছে।
ব্যাবসায়ীদের মতে, এক বক্সে ৫০টি মাস্ক থাকে। এক বক্স মাস্ক ছয়শ’-সাতশ’ টাকায় কিনতে হচ্ছে দোকানিদের। প্রতিটি মাস্কের ক্রয়মূল্য পড়ছে ১২-১৫ টাকা। ফলে পূর্বের চার টাকার মাস্ক ২০-২৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। আর ভালো মানের ২৫-৩০ টাকার মাস্ক এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
শহরের এমএম আলী রোডের বিসমিল্লাহ ফার্মেসির কর্মচারীরা জানান, ঢাকা থেকেই মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। আর দামও বেড়েছে। মাস্কের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের নানা প্রশ্নের শিকার হতে হচ্ছে। দোকানে মাস্ক তোলা হচ্ছে না। তাদের দোকান থেকে মাস্ক কিনতে গেলে সর্বনি¤œ দাম পড়বে ৩০ টাকা। যার পূর্বের মূল্যে ১৫ টাকা।
বঙ্গবাজারের রনি সার্জিক্যালের কর্মচারিরা জানান, আগে একবার ব্যবহারযোগ্য মাস্কের ৫০ টির প্যাকেট পাইকারিতে কিনতেন ৮০ থেকে একশ’ টাকা করে। আর এখন এর দাম সাড়ে চারশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকা। তাও পাওয়া যায় না, ফলে খুচরা প্রতিটি ১৫ টাকার কমে বিক্রি করা যায় না।
হাটখোলা রোডের আয়েশা জোহা মার্কেট কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে যশোরে এই মার্কেট থেকে মাস্ক সরবরাহ করা হতো। কিন্তু বর্তমানে তাদের মার্কেটের কোনো দোকানে মাস্ক নেই। কেননা আগে ঢাকা ও চীন থেকে মাস্ক আসত। এখন চীন থেকে এই পণ্য আনা হয় না। আর বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর সরবরাহও কম।
রোববার সন্ধ্যায় শহরের বিভিন্ন স্থানে মাস্ক পরে চলাফেরা করতে দেখা যায়। বাবলুর রহমান নামে এক পথচারী জানান, কিছুটা শ্বাসকষ্ট থাকায় মাস্ক পরলে সমস্যা হতো, তাই ব্যবহার করতাম না। করোনাভাইরাসের কারণে এখন সমস্যা হলেও পরার চেষ্টা করছি। মেয়ে স্কুলে পড়ে। তার জন্য বহু দোকান ঘুরে একটি দোকানে মাস্ক পেয়েছি। দোকানি একটি পাঁচ টাকা মূল্যের সাধারণ মাস্কের দাম চাইল ২০ টাকা। বাধ্য হয়ে কিনতে হলো। আর আগে যে মাস্ক ৩০ টাকায় কিনতাম, সেটি কিনেছি ৮০ টাকায়।
এদিকে অসাধু ব্যবসায়ী ও ফার্মেসি মালিকদের ধরতে অভিযানে নামছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে অনুরোধ জানিয়েছেন জনসাধারণ।