তাবারক হোসেন আজাদ, লক্ষ্মীপুর:
নিবেদিত কাজের প্রশংসায় আলোচিত হয়ে উঠেছেন লক্ষ্মীপুরের দুই নারী কর্মকর্তা (-ইউএনও) । অন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যখন মরনব্যাধি করোনা ভাইরাসে হোম কোয়ারেন্টাইন নিয়ে ব্যস্ত। তখনই নিজ অর্থায়নে অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে গিয়ে সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধুরী ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান।
তাঁরা নিজের বেতনের টাকা দিয়ে ফুটপাতের হকার, রিক্সা চালক, ভিক্ষুক ও হত দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে। উপজেলার প্রায় প্রত্যকটি অঞ্চলকেই নিজগুনে আলোকিত করছেন এই দুই নারী ইউএনও।
২০১৯ সালের ২৪ জুলাই থেকে রামগঞ্জ ইউএনও হিসেবে কাজ শুরু করেন মুনতাসির জাহান। অপরদিকে ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রায়পুরে যোগদান করেন ইউএনও সাবরীন চৌধুরী ।
জানা যায়, যোগদানের পর থেকে সূর্য উদয় থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ দুই কর্মকর্তা ছুটছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ব্যবসায়ীরা যখন ক্রেতা সাধারণকে জিম্মি করে দ্রব্য মূলের দাম বাড়াচ্ছেন, ঠিক তখনি সাধারন মানুষের প্রতিনিধি হয়ে ছুটে গিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে। পরিচালনা করেছেন ৪০টি মত মোবাইল কোট। জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। ৪৫টি বাল্যবিয়ে আটকে দিয়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের দেখিয়েছেন আলোর পথ। সেই সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা এমনকি হাত খরচ উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যক্তি কাঁধে তুলে দিয়েছেন তারা।
শুধু তাই নয় বয়স্ক ও বিধবা ভাতা নিয়েও রাখছেন কঠোর নজরদারি। বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন রোধে ইউনিয়নের ওয়াড গুলোতে করেছেন সতেচনমূলক উঠান বৈঠক।
দুই উপজেলার সাধারন মানুষ বলছে ইউএনওদের কাজে সন্তষ্ট তারা, সরকারী সহায়তার আগে তারা নিজেদের উদ্দ্যেগে অসহায় হত দরিদ্রদের মাঝে যে খাদ্য সহায়তা করেছেন এতে খুশি অসহায় ও হত দরিদ্র মানুষ গুলো। দেশের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে আইন মেনে চলা সবার দ্বায়িত্ব,। ইউএনও দের কাছে গিয়ে আমাদের সমস্যার কথা বলতে পারছি, সমস্যা সমাধান হচ্ছে এটাই বড় কথা।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান বলেন, দেশ ও মানুষের স্বার্থে আইন মেনে চলা আমাদের সবার দ্বায়িত্ব। কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঠিক দিক নির্দেশনার কারণে দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে পারছি।
রায়পুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইউএনও সাবরীন চৌধুরী বলেন, এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে চেষ্টা করছি মানুষের জন্য কিছু করতে। আমাদের কর্ম দিয়ে মানুষের উপকার করতে পারি এটাই আমার সাথর্কতা। সকলের সহযোগিতায় দায়িত্ব পালন করতে পেরে কৃতজ্ঞ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।