আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৪:৪১, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস

ADMIN, USA
প্রকাশিত মে ৯, ২০২০
আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস

জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহর (পাবনা) :
আজ ৮ মে, বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। থ্যালাসেমিয়া একটি ঘাতক ব্যাধি। এ রোগের ঔষধ আজও বের হয়নি। এ রোগের হাত থেকে বাঁচতে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের প্রতি মাসে অন্যের রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। যা খুবই দু¯প্রাপ্য চিকিৎসা ও কষ্টদায়ক। নিরাপদ রক্ত সংকটে পড়েছে পাবনা জেলার ৫‘শ ৫২ জন থ্যালাসেমিয়া রোগী।
জেলার চাটমোহরস্থ মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে জানা যায়, পাবনার ৯টি উপজেলায় ৫‘শ ৫২ জন অসহায় থ্যালাসেমিয়া রোগীর তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটি পাবনা জেলায় ২০০৮ সাল থেকে প্রতিটি থ্যালাসেমিয়া রোগীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুসন্ধানের মাধ্যমে বেজলাইন সার্ভে করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৫‘শ ৫২ জন থ্যালাসেমিয়া রোগীর সন্ধান পেয়েছে। এর মধ্যে ২‘শ ৯৬ জন মহিলা ও ২‘শ ৫৬ জন পুরুষ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এসকল অসহায় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা থেকে প্রতি মাসে ব্ল¬াড ব্যাগ, ব্লাড সেট, ঔষধ, পরামর্শসহ সকল প্রকার সহায়তা দিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। তবে এসকল সহযোগীতা রোগীরা পেলেও নিরাপদ রক্ত সংকটে ভুগছে তারা। অনেক সময় নিজের আত্বীয়-স্বজন/পরিচিত ব্যক্তির নিকট থেকে না পাওয়ায় ব্লাড ব্যাংক বা বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে যে সকল রক্ত ক্রয় করে থ্যালাসেমিয়া রোগীর শরীরে দেওয়া হচ্ছে তাতে ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শুয়াইবুর রহমান বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি ভয়াবহ ব্যাধি যে রোগের ওষুধ নেই। এ রোগের চিকিৎসাও দু¯প্রাপ্য, প্রতি মাসে রক্ত নিয়ে বাঁচতে হয়। রক্ত নেওয়ার খরচটাও বেশি যা মধ্যবিত্ত-গরিবদের পক্ষে একেবারেই অসাধ্য।
চাটমোহর উপজেলার কাঠাখালি গ্রামের হতদরিদ্র অসহায় থ্যালাসেমিয়া রোগি মোছাঃ তন্নির পিতা আবুল হোসেন বলেন, আমার দুটি মেয়েকে প্রতিবার রক্ত প্রদানের সময় রক্তের ব্যাগ, সেট, প্রয়োজনীয় ওষুধসহ রক্ত স্কিলিং টেষ্ট করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। যা আমাদের পক্ষে খুব কষ্টসাধ্য। তবে গত ১০ বছর ধরে মানব সেবা উন্নয়ন সংস্থা থ্যালাসেমিয়া রোগিদের রক্তের ব্যাগ, সেট ঔষুধসহ প্রয়োজনীয় সহযোগীতা এগিয়ে এসেছে। সংস্থাটির সহযোগীতা না পেলে আমার মেয়েদের অর্থের অভাবে বাঁচাতে পারতাম না।
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত দিলদার হেসেন জানান, ১ মাস পর পর রক্ত নিতে খুবই কষ্টে পরতে হয়। আতী¡য়-স্বজনের রক্ত না পেলে নিরাপদ রক্ত পাওয়া যায় না।
এ ব্যাপারে মানব সেবা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক এম এস আলম বাবলু জানান, থ্যালাসেমিয়া একটি ঘাতক ব্যাধি যার ঔষধ আজও বের হয়নি। চিকিৎসাও ব্যায় বহুল তাই আমরা এই অসহায় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের বিভিন্ন সহযোগীতা বিনা মূল্যে দিয়ে আসছি। তবে নিয়োমিত নিরাপদ রক্ত যোগার করতে পারলে এসব রোগী বিপদ মুক্ত হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।