কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের চাপ কমাতে ভাসানচরে স্থান্তন্তর জরুরি
১৯ অক্টো ২০২০, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

সম্পাদকীয়: বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অস্থায়ী বসবাসের জন্য নোয়াখালীর ভাসানচরে নির্মিত হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। তবে রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ ভাসানচরে যেতে রাজি নয়। প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের কাউন্সেলিং করে ভাসানচরের প্রতি তাদের আকৃষ্ট করতে হবে। রোহিঙ্গারা বর্তমানে যেখানে রয়েছে, তার চেয়ে অনেক উন্নত এই ভাসানচরের আশ্রয় কেন্দ্র। ভাসানচরে রোহিঙ্গারা চাইলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত হতে পারবে। গবাদিপশু পালন, দুগ্ধ উৎপাদন, মাছ চাষ, ফল ও ফসলের চাষ এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সঙ্গে তারা জড়িত হতে পারবে। ইতোমধ্যে সেখানে ১০ হাজার মহিষ, কয়েকশ’ ভেড়া, রাজহাঁস, দেশি হাঁস, মুরগি এনেছে নৌবাহিনী। বিভিন্ন ফল ও ফসলের বাগানও তৈরি করে দেয়া হয়েছে। গত তিন বছরে রোহিঙ্গারা সেখানে নানা সমস্যা তৈরি করেছে। পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতিসহ নিরাপত্তার সংকট দেখা দিয়েছে কক্সবাজারে। রোহিঙ্গাদের অনেকেই নানা ধরনের সামাজিক অপরাধেও জড়িয়ে পড়েছে। কক্সবাজারের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ভাসানচরে যেতে হবে। অবশ্য এটা হল অস্থায়ী সমাধান। মূল যে সমস্যা তা হল, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন। এত অধিকসংখ্যক রোহিঙ্গা বছরের পর বছর বাংলাদেশে পড়ে থাকবে তা হতে পারে না। মিয়ানমারকে তাদের ফেরত নিতে হবে অবশ্যই।