পেনশন পাত্তয়া ব্যক্তিদের দিকে নজর দিতে হবে
২২ ডিসে ২০২০, ১০:২১ পূর্বাহ্ণ
সম্পাদকীয়: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে যারা শতভাগ পেনশন সমর্পণ করে এককালীন অর্থ নিয়েছেন তারা পড়েছেন বিপাকে। ভুক্তভোগী ওইসব অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরে ভেবেছিলেন পেনশন সমর্পণের এককালীন অর্থ নিয়ে জীবন-জীবিকার জন্য টেকসই কোনো ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন। কিন্তু কল্পনা আর বাস্তবতার মধ্যে প্রায়ই ফারাক হয়ে যায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে। যেমনটি ঘটেছে অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে। অবসরের পর গত কয়েক বছরে জীবন-জীবিকার ব্যয় বেড়েছে ব্যাপকভাবে। অন্যদিকে প্রাপ্ত অর্থ বিনিয়োগ করার বদলে অনেকেই অসুখ-বিসুখ, ছেলেমেয়ের বিয়ে, আত্মীয়স্বজনের পেছনে ব্যয় করে এখন অর্থাভাবে ভুগছেন। পেনশন সমর্পণের সময় অনেকে ভেবেছিলেন প্রাপ্ত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে লাভবান হবেন। কিন্তু অস্থির চিত্তের এ বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা না থাকায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন এমন সংখ্যাই বেশি। যুবক, ডেসটিনিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বেশি লাভের আশায় বিনিয়োগ করতে গিয়েও অনেকে প্রতারিত হয়েছেন। সঞ্চয়পত্র কিংবা ব্যাংকে অর্থ রেখে যারা লভ্যাংশ দিয়ে জীবনযাপনের খরচ চালাবেন বলে ভেবেছিলেন তারাও এখন ভুগছেন দারুণ হতাশায়। বিশেষত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তারা যেহেতু প্রবীণ নাগরিক সেহেতু তাদের অনেকেই নিজের এবং স্ত্রীর চিকিৎসা খাতে অর্থ ব্যয় করতে গিয়েও অর্থশূন্য হয়ে পড়েছেন। বর্তমান সরকার আমলে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে দেশের অর্থনৈতিক সামর্থ্য বাড়ার জন্য। দেশের এ সমৃদ্ধির পেছনে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। আমরা আশা করব, বিষয়টির দিকে সুনজর দিয়ে প্রয়োজনে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের হালহকিকত সরেজমিন অনুসন্ধান করে তাদের দুর্ভোগ লাঘবের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দিকেই তাকিয়ে আছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের বিশ্বাস, মাদার অব হিউম্যানিটি হিসেবে বিশ্বজুড়ে নন্দিত প্রধানমন্ত্রী তাদের সহায় হবেন। দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসবেন। ১৫ বছর নয়, আট বছর পূর্ণ হলেই পেনশন সমর্পণকারীরা আবারও পেনশন ভোগ করার সুযোগ পাবেন।