আসছে ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস”, সমুদ্র বন্দর সমূহকে ২ নম্বর বিপদ সংকেত - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ২:০৭, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

আসছে ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস”, সমুদ্র বন্দর সমূহকে ২ নম্বর বিপদ সংকেত

newsup
প্রকাশিত মে ২৪, ২০২১
আসছে ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস”, সমুদ্র বন্দর সমূহকে ২ নম্বর বিপদ সংকেত

নিউজ ডেস্কঃ  পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণীঝড় “ইয়াস”-এ পরিণত হয়েছে। সমুদ্র বন্দর সমূহকে ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস” বর্তমান গতিপথ না বদলালে বাংলাদেশে আঘাত হানবে না। তবে এর প্রভাবে সুন্দরবন এলাকায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ থেকে সোমবার ভোরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর পূর্বে ঠিক করা তালিকা অনুযায়ী এটির নাম হয় “ইয়াস”। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী এই নামটি প্রস্তাব করেছিল ওমান। এর অর্থ ‘হতাশা’। আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, আরো শক্তি সঞ্চয় না করলে ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস” যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে এটাকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ই বলা চলে এবং এটি মারাত্মক আকার ধরার সম্ভাবনাও নাই। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বর্তমান গতিপথ ওড়িশা ও কলকাতার মাঝামাঝি রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মাঝে মাঝেই গতিপথ পরিবর্তন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বর্তমানে ওড়িশার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।

এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিতে এগিয়ে যেতে পারে। শনিবার উত্তর আন্দামান সাগর এবং আশেপাশের এলাকায় ওই লঘুচাপের তৈরি হয়। পরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং আরো শক্তি সঞ্চয় করে সোমবার সকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় “ইয়াস”। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে না যাওয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বাংলাদেশে আম্ফানে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক হিসেবে সাড়ে এগারোশ কোটি টাকা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি হিসেবে অন্তত ৭২ জন আর বাংলাদেশে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।