বিশেষ প্রতিবেদন: নতুন বছরে আওয়ামী লীগের প্রাধান্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ বছর হবে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনি প্রস্তুতি ও প্রচারণার বছর। বছরজুড়েই সরকারের উন্নয়ন প্রচারণা নিয়ে মাঠে সক্রিয় থাকবে দলটি। পাশাপাশি বিরোধী দলের অপ্রচারের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করবে। বিরোধী দলের কর্মসূচির বিপরীতে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে রাজনীতির মাঠ দখলে রাখবে। দলটির সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরজুড়েই নির্বাচনি প্রচারণা কেন্দ্রিক কর্মসূচি থাকবে আওয়ামী লীগের। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন দেশের বিভিন্ন স্থানে যাবেন। এ সময় দলের উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাবেন। ইতোমধ্যে তিনি যশোর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সফর করেছেন। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি রাজশাহী সফরে যাবেন। পর্যায়ক্রমে বছরব্যাপী দেশের বিভাগীয় শহর ও বড় বড় জেলাগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর সফর অব্যাহত থাকবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দলের নেতারা জানান, সদ্য অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দলের নেতৃত্বে খুব একটা পরিবর্তন না হলেও নতুন কমিটি নতুন বছরে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করবে। নির্বাচনের আগে কমিটিতে বড় ধরনের পরিবর্তন না আনার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক মনে করছেন তারা। এক্ষেত্রে কমিটির ‘হানিমুন পিরিয়ডের’ প্রয়োজন পড়বে না। অবশ্য পুরনোদের দিয়ে কমিটি গঠনের কারণ ব্যাখ্যা করে ইতোমধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচন, বিএনপির সরকার হটানোর আন্দোলনের ঘোষণা এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ দেশীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দলে অভিজ্ঞদের রাখা হয়েছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।